স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের টেংরা বাঘমারা গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ও মরহুম জবান উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফিজ আকবর আলী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি ও নানাভাবে অপপ্রচার চালিয়ে একজন সহজ সরল ইমামের মান সম্মান ক্ষুন্ন করছেন এক ক্ষতিপয় ব্যক্তি। কিন্তু ইমাম এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদও করতে পারছেন না এবং এসব মামলার হয়রানিও সইতে পারছেন না। অবশেষে ইমামের পক্ষ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেন গ্রামের কয়েক সতাধিক মানুষ।
বিশ্বনাথ থানা সদর থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার উত্তর পূর্বদিকে সবুজ স্যামল ঘেরা টেংরা বাঘমারা গ্রাম। এই গ্রামের বাসিন্ধা আকবর আলী নিজ গ্রামের মসজিদে ইমামতি ও মাদরাসায় শিক্ষকতা করেন। একটি দালান ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে তাই ভাই বাদশা মিয়া উপফে আছলিম আলীর উপর সাজিয়ে অতি কৌশলে একটি নারি নির্যাতন মামলা দেয়া হয়। পুলিশ ইমাম আকবর আলী ও তার ভাই আছকর আলীকে গ্রেফতার করে থানা নিয়ে আসে। ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামবাসি প্রতিবাদে হয়ে থানায় এসে প্রতিবাদ করেন। পুলিশ ইমামকে ছেড়ে দিলেও তার ভাই আকবরকে জেল হাজতে প্রেরণ করে। তিনি ২ মাস হাজত বাসের পর মুক্তিলাব করে। কিছুদিন পূর্বে ইমাম আকবর আলী ও তার মাতা ও ভাই বোনকে আসামি করে আরেকটি মামলা দায়ের করে। এতে চরশভাবে ভেঙ্গে পড়েন আকবর আলী ওতার পরিবার। প্রতিপক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত তাদেরকে ভয়ভীতি দেখালেও অবিযোগ করা হয় ইমাম আকবর আলী ও তার পরিবার প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এসব সাজানো ঘটনায় অতিষ্ট হয়ে গ্রামের আজম আলীর বাড়িতে বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছেন।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, ১৩০টি পরিবারের মানুষের আস্তাভাজন ইমামের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা করে যাচ্ছে একই গ্রামের আবুল মিয়ার মেয়ে হামিদা বেগম (১৬)। গত ২ সেপ্টেম্বর যে মামলাটি করেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অচিরেই এ মামলাটি তুলে নিতে উর্ধতন পুলিম প্রশাসনের দৃস্টি আকর্ষন করেছেন।
বাঘমারা জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী নেছার আলীর সভাপতিত্বে ও সংগঠক জাকির আহমদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন টেংরা আলী পাড়া জামে মসজিদের খতিব ও ইমাম হাফিজ মো: রেদওয়ান খান, টেংরা বাঘামারা গ্রামের বিশিষ্ট সালিশ ব্যক্তিত্ব তরিক উল্লাহ, সমাজসেবক মুক্তার আলী, আহমদ আলী, সংগঠক রজব আলী ও মরহুম জবান উল্লাহ হাফিজিয়া মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হাফিজ আব্দুল কাদির।
সভায় গ্রামের মুরব্বি আলকাছ মিয়া, তৈমুছ আলী, আনোয়ার আলী, গেদা মিয়া, বাবুল মিয়া, নুরুল ইসলাম, আহমদ আলী,মাহমদ আলী, আলী হোসেন, রুপা মিয়া, রজব আলী, সিরাজ মিয়া, সোনাফর আলী, তাহির আলী, কাওসার মিয়া, তরুণ সংগঠক ফুল মিয়া, নুরুল ইসলাম, রমজান মিয়া, আনসার আলী, আব্দুর রহিম, আহমদ আলী, ফরিদ মিয়া, জুবের মিয়া, হাফিজ সাইফুদ্দিন, হাফিজ মাহফুজুর রহমান, সুমন মিয়া, হাফিজ আল আমিন, হাফিজ এমাদ আহমদ, সাইদুল ইসলাম, আমিন মিয়াসহ গ্রামের সর্বস্থরের জনতা ও মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।