বিশ্বনাথ অলংকারি ইউনিয়নের পিঠাকরা গ্রামে পাল্টা পাল্টি মামলা : আক্তার কারাগারে

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নের পিঠাকরা গ্রামের আক্তার হোসেনকে জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার মাওলানা ইলিয়াস হুমাইদির ভাই আলকাছ আলীর মামলায় আক্তার হোসেন ও মাহমদ আলী হাজিরা দিতে গেলে শুনানী শেষে আদালত মাহমদ আলীর জামিন মঞ্জুর করেন এবং আক্তার হোসেনের জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আক্তার হোসেন পিঠাকরা গ্রামের মৃত আব্দুল মুতলিব ওরফে কঠাই মিয়ার পুত্র এবং মাহমদ আলী মৃত আজিজ মিয়ার পুত্র। বিশ্বনাথ জি আর ৬৪/২০২০। একই দিন আক্তার হোসেনের দায়েরী মামলায় আলকাছ আলী সহ দুইজন জামিন লাভ করেন, (বিশ্বনাথ জি আর ৬৩/২০২০)।
এজহারসহ স্হানীয় সূত্রে জানা যায়, পিঠাকরা গ্রামের মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র মাওলানা ইলিয়াস হুমাইদির সাথে একই গ্রামের প্রভাবশালী আক্তার হোসেন গংদের সাথে বাড়ির রাস্তা ও একটি মাজারের ভূমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। চলতি বছর ২৬ শে মার্চ হুমাইদি তাঁর নিজ বাড়িতে আসা মাত্রই আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একদল লোক হুমাইদি ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা চালায়। এতে হুমাইদি তাঁর ভাই আলকাছ আলীসহ পরিবারের অনেকেই গুরুতর জখম হন। কিন্তু পতিপক্ষের আক্তার হোসেন আগেভাগে থানায় গিয়ে ইলিয়াস হুমাইদিকে প্রধান আসামী করে একটি নামলা দায়ের করেন (জি আর৬৩/২০২০)। এবং চিকিৎসা শেষে ইলিয়াস হুমাইদির ভাই আলকাছ আলী ২৯ মার্চ বিশ্বনাথ থানায় (জি আর ৬৪/২০২০ ইং মামলাটি দায়ের করেন)। ইলিয়াস হুমাইদি ও তাঁর পরিবারকে বাড়িঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পতিপক্ষ এই ঘটনার পূর্বে হুমাইদিসহ তাঁর পরিবারের উপর একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেছিল। কিন্তু সিলেটের পুলিশ সুপার মামলাটি নিরপেক্ষ তদন্তের নির্দেশ দিলে ওসমানি নগরের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম সরজমিনে তদন্ত করে মামলাটি ফাইনাল দেয়ার নির্দেশ দেন। মামলাটি ফাইনাল দেয়ার পর বাদিপক্ষ ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬ মার্চ হোমাইদী ও তাঁর পরিবারের উপর হামলা করা হয়েছিল।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *