স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথে সফিক আলী (৩৪) নামের এক অটোরিক্সা চালক খুনের ঘটনায় ১জনকে গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবকের নাম জামাল উদ্দিন। তার বাড়ী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থানার কালাপুর গ্রামে। সে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের মোল্লারগাও গ্রামের একটি কলোনীতে বসবাস করে আসছিল। রবিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিশ্বনাথ উপজেলা সদর থেকে তাকে গ্রেফতার করে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
পুলিশ ও অন্যান্য সুত্রে জানায়, অটোরিক্সা চালক সফিকুর রহমান একজন সহজ সরল ব্যক্তি এবং তার স্ত্রী একজন সুন্দরী নারী। স্ত্রী পরকিয়ায় জড়িত থাকায় স্বামী থাকে বাধা আপত্তি করত। এই প্রতিহিংসায় তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে সূত্র জানায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রিগান জানান, পরকিয়া সহ অন্য কয়েকটি বিষয়ের সূত্র ধরে তদন্ত করা হচ্ছে এবং জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। খুব শ্রীগ্রই হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে।
প্রসঙ্গ, গত (২৯ অাগষ্ট) শুক্রবার সন্ধা ৭টার দিকে অটোরিক্সা নিয়ে সফিক মিয়া তার ভাড়াটে ভাসা থেকে বের হলে রাত অনুমান ১০ টায় বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের রাজনগর দাশপাড়া গ্রামের রাস্তার পাশে একটি ড্রেইনের গাড ওয়ালের উপর তার লাশ পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছিল অজ্ঞাতনামা খুনিরা তাকে হত্যা করে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পুলিশ সফিকের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করে। সফিকের ভাই রফিক আলী বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় দন্ড বিধি আইনের ৩০২ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-২১, তারিখ ২৯, ০৮, ২০২০ইং)। রফিকের বাড়ি মানিক গঞ্জের সিংরাই থানার পারিল নওয়াদা গ্রামে। তার পিতার নাম শাহজাহান মিয়া। সে বিশ্বনাথ উপজেলার শাহজির গাঁও গ্রামের হাজি মস্তফা মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী, ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। সে পেশায় একজন অটোরিক্সা চালক ছিল। সফিকের শরীরে আঘাত করে রশি দিয়ে বেধে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ জামাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করে।