বিশ্বনাথে বিরোধ নিস্পত্তির পরও মামলা-৫ মধ্যস্থকারি আসামি

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শাহেদ খানের বাড়ি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের নিস্পত্তির পরও মধ্যস্থকারি সহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন সফিক মিয়া নামের এক ব্যক্তি।বিশ্বনাথ থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে গত ১৪ জুলাই উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে থানা কম্পাউন্ডে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। কিন্তু অদৃশ্য কারনে মধ্যস্থকারি সহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা দেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে খুন খারাবির মত ঘটনা। এলাকার সচেন মহলের দাবি, উর্ধতন কর্তপক্ষ বিষয়টি নজর দিলেই আসল ঘটনা বেরিয়ে আসবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দৌলতপুর গ্রামের মৃত জহুর উদ্দিন খানের ছেলে প্রবাসী শাহেদ খান ও মৃত মোবাশ্বর খানের ছেলে তোরণ খানের মধ্যে দু’টি আধাপাকা বসতঘর (দৌলতপুর মৌজার ৭৮১ নং খতিয়ান (বিএস) ও ৬৯৭১ নং দাগের ১৬শতক জায়গা) নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এ নিয়ে এক পক্ষ মামলাও দায়ের করা হয়েছিল। অবশেষে থানা পুলিশ সহ বৈঠকে উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সালীশ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় দু’পক্ষের দলিলপত্র পর্যালোচনা করে তালাবদ্ধ ঘরের চাবি প্রবাসী শাহেদ খানের ভাই কয়েছ খানের হাতে তুলে দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে ওইদিন দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে দু’পক্ষের উপস্থিত মিষ্টিমুখও করানো হয়। কিন্তু বিষয়টি নিস্পত্তির পরও তোরণ খানের শশুড় শফিক মিয়াকে দিয়ে নিস্পত্তির বৈঠকে মধ্যস্থতাকারীদের আসামি করে সিলেট আদালতে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন প্রবাসী তোরণ খান। মামলার বাদি শফিক মিয়া সিলেটের খাদিম নগরের মোকারমেরগুল এলাকার বাসিন্দা।
এই বিরোধ নিস্পত্তির ৪দিন পর গত ১৯ জুলাই ৩জনকে আসামী করে আদালতে প্রথম মামলা দায়ের করেন শফিক মিয়া (বিশ্বনাথ.সি.আর-১২৩)। মামলাটি পিবিআইতে তদন্তাধীন রয়েছে।তবে, মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তারা ছিনেন না এবং জানেন না বাদি কে।
মামলার স্বাক্ষী দৌলতপুরের সাইস্তা মিয়া, হিরা মিয়া, আব্দুর রহিম দলা মিয়ার দাবি, এটি একটি সাজানো মামলা। আর এ মামলায় তাদেরকে স্বাক্ষী করায় তারা গ্রামবাসীর কাছে বিচারপ্রার্থী হয়েছেন বলেও জানান।মামলার বাদি শফিক মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারলেও তার ছেলে রাজন মিয়া বলেন, তার বাবা শফিক মিয়া গত ২০ আগস্ট তার বোনজামাই তোরণ খানের বাড়িতে গেলে অভিযুক্তরা গালিগালাজ করায় মামলা দেওয়া হয়েছে।
দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী বলেন, তোরণ খান ও শাহেদ খানের মধ্যে বিরোধ রয়েছে সত্য, তবে নিস্পত্তির পর এ পর্যন্ত কোন অপৃতিকর ঘটনা ঘটেছে বলে তার জানা নেই।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *