স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নুনু মিয়া বলেছেন, আমাদের দেশে এখন দেশীয় মাছ বিলুপ্তির পথে। খাল বিল ভরাট এবং বেপরোয়াভাবে মাছ ধরা এর মুল কারন। তাই মৎস্য সম্পদ রক্ষায় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। আমাদের পূর্ব পূরুষদের মাছ ধরার গল্প শুনলে স্বপ্ন মনে হয়। বর্তমান সরকার দেশে দেশীয় মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা হাওর, বিল-ঝিল, নদী-নালা, খাল-বিলে অবমুক্ত করছেন। কিন্তু মাছের বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টি না হলে একসময় দেশীয় মাছ রক্ষা কঠিন হয়ে যাবে। আমাদেরকে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ মারা থেকে বিরত থাকা, কারেন্ট জালের ব্যবহার বন্ধ, মাছের নিরাপদ আবাস ভুমি গড়ে তুলতে পারলে প্রচুর দেশীয় মাছ উৎপাদন সম্ভব হবে।
বিশ্বনাথের চাউলধনি হাওর, বড়বিল ও বিলবন হাওর সহ যে সকল হাওর খাল নদী রয়েছে সেখানে খুব সতর্কভাবে মাছ ধরতে হবে। এবিষয়ে গণসতেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং সচেতন মহলকে এগিয়ে আসার অনুরোধ করেন। তিনি উপজেলার সকল খাল-বিল, নদী-নালার তালিকা তৈরী করে খননের জন্য মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ করবেন বলে উল্লেখ করেন।
অনুষ্টানের সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেন, মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি একা সরকারে পক্ষে মোটেই সম্ভব নয়। আমরা মাছের পোনা উম্মুক্ত করে গেলাম, সাথে সাথে যদি এ মাছ ধরা হয়ে যায় তাহলে সরকারের আসল উদ্দেশ্য সফল হবেনা । তিনি পোনা মাছ ও ডিমওয়ালা মাছ নিধন থেকে বিরত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৃহস্পতিবার (২০ আগষ্ট) সকাল ১১ টায় বড় বিলে এবং দুপুরে দশঘর বিলবন হাওরে এ পোনামাছ অবমুক্ত শেষে আয়োজিত পৃথক দুটি অনুষ্টানে সংক্ষিত বক্তব্যে তারা উপরোক্ত কথা বলেন। অনুষ্টানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশ্বনাথ উপজেলা মৎস কর্মকর্তা সফিকুল ইসলাম ভুঁইয়া বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শামিম মুসা, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবুল খয়ের, সমাজ সেবক কিনু মিয়া প্রমুখ। এ দুটি হাওরে মোট ৩৩৪ কেজি পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়।