বিশ্বনাথে প্রবাসির দোকানের দলিল জালিয়াতি : ১৪দিনেও রেকর্ড হয়নি মামলা

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথে প্রবাসির দোকান জালিয়াতির ঘটনায় এজহার দাখিলের ১৪ দিন পেরিয়ে গেলেও রেকর্ড হয়নি মামলাটি। এনিয়ে প্রবাসি কমিউনিটিতে ও বাদি পক্ষের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। বাদি পক্ষের অভিযোগ, দোকান জালিয়াতির মূল হোতা অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের চেষ্টা তদবিরের কারনে মামলাটি রেকর্ড হচ্ছেনা। পুলিশের একজন উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে।


বিশ্বনাথ থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, অলংকারি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল তার ইউনিয়নের স্থানীয় পনাউল্লা বাজারের পরিচালনা কমিটির স্ব-ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক রয়েছেন। বড় খোরমা গ্রামের মৃত আছলম আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসি হারুন মিয়া (উরফে) ইরন মিয়ার পনাউল্লা বাজারের ২২নং দোকানটি চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল নিজে একটি জাল দলিল তৈরী করে দোকানটি তার দখলে নেয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ সুপারের নিকট কয়েক দফা অভিযোগ করা হয়। কিন্তু নাজমুল ইসলাম রুহেল দোকানটি ফেরত না দেয়ায় ২০১৯ সালের ২ আগষ্ট পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার নির্দেশে দন্ডবিধি আইনের ৩৮৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ (২) ধারা মতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ঢাকা সিআইডিতে জালিয়াতির ঘটনা প্রমানের জন্য দলিলটি প্রেরণ করা হলে তদন্তে দোকানের মালিক হারুন মিয়ার স্বাক্ষর জাল প্রমানিত হওয়ায় গত ২৭/০৩/২০২০ তারিখে চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেলের বিরুদ্ধে আদালতে জালিয়াতির চার্জশীট দালিখ করা হয়।


ঢাকার সিআইডি কার্যালয় থেকে দোকান মালিক হারুন মিয়া উরফে ইরন মিয়ার স্বাক্ষর জাল প্রমানিত হয়ে থানায় রির্পোট আসার পর চেয়ারম্যান খবর পেয়ে আরেটি ফন্দি করেন। প্রথমে জালিয়াতির মাধ্যমে তার নামে দোকানের দলিল করলেও পরবর্তীতে অতিগোপনে আরেকটি জাল দলিল তৈরী করে অন্য জনের নিকট দোকানটি বিক্রি করে দেন। গত ১৫/০৬/২০২০ইং তারিখে দোকানটি পূণরায় জাল দলিল তৈরীর ঘটনা জানতে পেরে হারুন মিয়ার আমোক্তার আওয়ামীলীগ নেতা রুকন মিয়াজি গত ৭ জুলাই বিশ্বনাথ থানায় জাল দলিল যুক্ত করে একটি এজহার দাখিল করেন। জলিলে দেখা যায়, পনাউল্লা বাজারের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল দলিলে সীল স্বাক্ষর দিয়েছেন। কিন্তু দোকানের মালিক হারুন মিয়ার কোন স্বাক্ষর নেই। প্রথম জালিয়াতির দলিলে স্বাক্ষী হিসেবে যারা স্বাক্ষর দিয়েছিলেন দ্বিতীয় দলিলেও একই ব্যক্তিদের নাম ঠিকানা উল্লেখ রয়েছে। মহামারি করোনা ভাইরাসের সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক শাহেদ ও ডা. সাবরিনা এখন বিশ্বে চরম নিন্দিত, সমালোচিত ও জালিয়াতকারি এবং দেশের শ্রেষ্ট প্রতারক হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করেছে। আর বিশ্বনাথে এখন সেরা সমালোচিত, জালিয়াতকারি ও প্রতারক নাজমুল ইসলাম রুহেল। অলংকারি ইউনিয়নে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নেই।


এ ব্যাপারে ওসমানীনগর সার্কেল রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই, বিশ্বনাথ থানার ওসিকে জিজ্ঞাসা করেন। ওসি শামিম মুসা জানান, একটি এজহার দাখিল করা হয়েছিল, কিন্তু অভিযোগটি আদালতে দাখিলের পরামর্শ দিয়েছি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *