স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অফিস সহকারী আসমা শিকদারের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটন ও প্ররোচনাকারিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে বিশ^নাথ উপজেলা সদরে এক মানবন্ধন কর্মসুচী পালন করা হয়েছে। এ কর্মসূচীতে প্রতিষ্টানের শিক্ষার্থী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা ব্যানার-পোষ্টার নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচীতে যোগদান করেন। (১৬জুলাই) বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় উপজেলা সদরের বাসিয়া ব্রিজের উপর এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে বক্তারা অতিসত্বর আসমা শিকদারের আত্মহত্যার নেপথ্যে নায়কদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এলাকার প্রবীন মুরব্বী হাজী ধন মিয়ার সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী বকুল আহমদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাইফুল শিকদার, বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ শিক্ষার্থী আশিক উদ্দিন, আকরাম খান, বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ছামি শিকদার। মানববন্ধনে কান্নাজড়িত কন্ঠে বক্তব্য রাখেন, নিহত আসমা শিকদারের একমাত্র ছেলে রেদওয়ান আহমদ রুহা
এসময় মানবন্ধনে বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ছাত্র আব্দুল হান্নান, আব্দুল জাহেদ, নিজামুল হক, আফিফুল ইসলাম, মখন শিকদার, আমির আলী, সুহেব মিয়া, লুকমান মিয়া, জয়নাল আহমদ, আব্দুস সাত্তার, আব্দুল ওয়াসে, জাকির শিকদার, মাছুম আহমদ, খালেদ আহমদ, ইউনুস মিয়া, দবির মিয়া, মকবুল শিকদার, লিমন মিয়া, ইকবাল শিকদার, নুরুল মিয়া, জাবেদ হোসেন, ইসলাম উদ্দিন, দিদার মিয়া, সুলতান মিয়া, তাহিদ শিকদার, রাশেদ শিকদার, জামাল মিয়া, জুমন মিয়া, শামিম মিয়া, সাইদুর রহমান, লিমন মিয়া, নাজির হোসেন, সাজন মিয়া, খাইরুল ইসলাম, জুনেল মিয়া, রাসেল আহমদসহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তণ ও বর্তমান দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধন শেষে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ৬জুলাই দুপুর ২টার দিকে আসমা শিকদার নিজ প্রতিষ্টানের পাশে ভাড়াতে বাসায় হারপিক পান করে আত্মহত্যা চেষ্টা করেন। সাথে সাথে তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৮জুলাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আসমা শিকদার বাহাড়া-দুভাগ গ্রামের ফজলু মিয়ার স্ত্রী। দেরওয়ান আহমদ রুহান নামের তার একটি ছেলে রয়েছে। আসমা শিকদারের আত্মহত্যা নিয়ে ব্যাপকভাবে গণমাধ্যমে লেখালেখি হচ্ছে।