স্টাফ রিপোর্ট: বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ১০টাকা মূল্যের গরিবের চাউল বিতরণে অনিয়ম, দূনীর্তি, হরিলুট ও আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত চলছে। উপজেলা প্রসাশন কর্তৃক গঠিত ৩সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রথম দফা তদন্ত শেষ হয়েছে।
আজ রবিবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট বিভিন্ন ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ১০ টাকা মূল্যের চালের অভিযোগকারীগণ কিছুদিন পূর্বে তারা অভিযোগ করেছিলেন। অভিযোগকারীগনের মধ্যে ৯/১০ জন অভিযোগকারী স্ব-শরীরে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তাগণ অভিযোগকারীদের লিখিত বক্তব্য গ্রহন করেন। যারা কার্ডে সাক্ষর বা টিপসই রয়েছে অথচ চাউল পাননি বলে অভিযোগ করেছেন তাদের সাক্ষর টিপসই পরিক্ষা করে পূণরায় অভিযোগকারিগণকে ডাকা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারি কর্মকর্তাগন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার নির্বাচনকালীন সময়ে এদেশের গরিব অসহায় মানুষকে ১০টাকা মূল্যে চাউল সরবরাহ করবেন বলে অঙ্গিকার করেছিলেন। সেই অঙ্গিকার বাস্তবায়নে সারাদেশে কাজ করা হচ্ছে। কিন্তু বিশ্বনাথে গরিবের ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির বিষয়ে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ডটকম পোর্টালে একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়। এই সংবাদের পর ৮টি ইউনিয়নে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায়। ডিলাররা বিভিন্নভাবে তালিকাভুক্ত কার্ডধারীদের ম্যানেজ করার চেষ্ঠা করেন। গত ২/৩দিন ধরে অভিযোগকারীদের নগদ টাকা দিয়ে তদন্ততে না আসার জন্য চেষ্ঠা করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন অভিযোগকারীরা বিশ্বনাথের ডাক ২৪ডটকমকে জানান, আমরা আমাদের সাক্ষ্য দিয়েছি। যারা আমাদের মত গরিবের চাল লুটপাট করেছে, তাদের বিচার প্রধানমস্ত্রীর নিকট চাই।
এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার দাশ জানান, আজ ৯/১০ জনের স্বাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। তদন্তে স্বাক্ষ্য গ্রহনের কাজ অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম নুনু মিয়া তদন্ত প্রসঙ্গে জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী অঙ্গিকার ১০ টাকা মূল্যের চাউল বিতরনে অনিয়ম দূর্নীতি তদন্তে প্রমানিত হলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।