স্টাফ রিপোর্টার : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা: আব্দুর রহমান মুসার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত (৪ মে) সোমবার তিনি নিজের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষায় পাঠান (ইউএইচও)। এর ছয়দিন পর রোববার (১০মে) রিপোর্টে ডা: আব্দুর রহমান মুসার করোনা পজেটিভ আসে। বর্তমানে তিনি ৫০ শয্যার ওই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশনে রয়েছেন।
এনিয়ে উপজেলায় মোট ৩ জনের করোনা শনাক্ত হলো।
এর আগে গত ৩ মে সিলেটের বিশ্বনাথে এক প্রসূতির করোনা শনাক্ত হয়। তিনিই উপজেলার প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী। ওইদিন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: কামরুজ্জামানের সঙ্গে ওই নারীর বাড়ি লকডাউন করতে যান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচও) ডা: আব্দুর রহমান মুসা। পর দিন সন্দেহ ছাড়াই গত ৪ মে তিনি করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠান। এরপর সাতদিনের মাথায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোববার দুপুর ১২টার দিকে তাকে জানান, পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
তবে, ইউএইচওর শরীরে করোনাভাইরাসের কোন উপসর্গ নেই বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও মো: কামরুজ্জামান। রোববার দুপুরে সিলেট ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইউএইচও’র করোনা শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন।
এ জন্য তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তা, চিকিৎসক, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি ও সাংবাদিকসহ যারা ‘ইউএইচও’র সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থেকে কাজ করেছেন তাদেরকে নিজে থেকেই কোয়ারেন্টিনে থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।
তবে, আতঙ্কিত না হয়ে সাধারণ রোগীসহ বিশ্বনাথবাসীকে সচেতন ও ঘরে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। তার শরীরে কোন উপসর্গ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, রোববার বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সসহ আরও ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, হাসপাতাল থেকে নতুন নমুনা সংগ্রহ করা ১৪জনসহ রোববার পর্যন্ত এ উপজেলায় ৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে ৩৯জনের। আর করোনা শনাক্ত করা হয়েছে ‘ইউএইচও’, এক প্রসূতি নারী ও ১০ বছরের এক শিশুসহ মোট তিনজনের।