স্টাফ রিপোর্টার : বিশ্বে মরণব্যাধি করোনা ভাইরাসে প্রতিদিন মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কম হলেও মানুষের মধ্যে আতংঙ্ক আছে খুব বেশি। সরকার করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষকে সুরক্ষার জন্য নানামুখি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। শহর এলাকায় সরকারের নির্দেশনা কার্যক্রম হলেও গ্রামাঞ্চলের মানুষ তেমন সর্তক হচ্ছেন না। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অনেকেই প্রবাস থেকে আসলেও তারা দিব্যি ঘুরাফেরা করছেন। তবে উপজেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও সেনা বাহিনীর সচেতনতা মুলক কার্যক্রমে গত কয়েকদিন হাট বাজারে মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। জরুরী কাজ বা নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা ব্যতিত কেউ তেমন বাড়ি-ঘর বা বাসা বাড়ি থেকে বের হচ্ছেনা।
কিন্তু দিন মজুর অসহায় দরিদ্র মানুষজন সেবকদের খুজে পারচ্ছেনা। অনেক স্থানে হন্যে হয়ে মানুষ এ বিপদের দিনে তাদের দেয়া ভোটে জনসেবকদের দেখা সাক্ষাৎ পাচ্ছেন না। যে কোন নির্বাচনে জনসেবকদের ভীড়ে ভোটাররা যন্ত্রনায় অতিষ্ট হতেন। অমুক নির্বাচিত হলে আপদে-বিপদে পাশে পাওয়া যাবে। অমুকে গরিবের কিছুই খায়না, তার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র ইত্যাদি বিশেষন শুনে মানুষ মেম্বার চেয়ারম্যান এমপি বানিয়ে ছিলেন। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে এসব জনসেবকরা কোথায়? নগদ অর্থ বা খাদ্য সামগ্রী না দিলেও মরণব্যাধি এ ভাইরাস থেকে বাচার বা রক্ষার পরামর্শটাও দেয়া উচিৎ। উপজেলার ৩ তিন কর্মকর্তা দ্বারা কয়েক লাখ মানুষকে সুরক্ষা বা সচেতন করা খুবই কঠিন। ইউনিয়ন পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিরা কমিটির মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করা সরকারের নির্দেশনাও রয়েছে। কিন্তু এখানকার জনপ্রতিনিধিদের তেমন কোন খবর নেই। কেউ কেউ নিজের প্রাণ রক্ষায় ব্যস্ত রয়েছেন। সিলেট ২ আসনের সাংসদ মোকাব্বির খানকে নিয়ে ফেইসবুকে ব্যাপক মন্তব্য করা হচ্ছে। যেমন যুক্তরাজ্য প্রবাসি আওয়ামীলীগ নেতা সুনু মিয়া তার ফেইসবুকে লিখেছেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শনা মেনে, উন্নয়নের রাজনীতি করুন দেশের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ান, মনে রাখবেন আগামী চারি বৎসর মোকাব্বির খাঁন সাহেব সিলেট ০২ আসনের এমপি থাকবেন তাহার হাত ধরে এই এলাকার উন্নয়নের কাজকর্ম সংগঠিত হবে। তাই আপনাদের নেগেটিভ রাজনীতির কারনে এলাকা যেন উন্নয়ন বঞ্চিত না থাকে, । এভাবে আরো অনেকেই এমপিকে নিয়ে নান মন্তব্য করেছেন।
কয়েকজন চেয়ারম্যান মেম্বারকে একটু মাঠে দেখা গেলেও অধিকাংশের কোন সন্ধান পাচ্ছেননা জনসাধারণ।
করোনা একটি ছোয়াচে বা সংক্রামক রোগ। একজন আক্রান্ত হলে অনেকজন আক্রান্ত হতে পারেন। এ রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য মাস্ক বা নাকে মুখে কাপড় বা টিসু ব্যবহার, সাবান দিয়ে হাত মুখ ভাল করে ধৌত করা, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা, বাসা বাড়ি থেকে বের না হওয়া এবং হাত মেলানো বা কোরাকুলি করা যাবেনা। একজন থেকে অপরজনের দুরত্ব বজায় রাখা সহ নিজ নিজ বাসা বাড়িতে সর্তক ভাবে থাকলেই করোনামুক্ত থাকা সম্বব।