আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সভাপতি, সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, প্রখ্যাত মানবাধিকার নেত্রী ও আইনজীবি সুলতানা কামাল বলেছেন, বায়ান্নের ভাষা আন্দোলন আর একাত্তুরের মুক্তিযুদ্ধের কারনে বাঙালি জাতি বিশ্বে বীরের জাতি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সেই বীরের জাতি বাংলাদেশের মানুষের সম্পদ নদী কেউ দখল খারতে পারবেন না। ৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে নদী আমাদের সহায়তা দিয়ে স্বাধীনতা অর্জনে সহায়ক ভুমিকা পালন করেছে। তাই নদী আমাদের নিয়ামক, সৃষ্টি কর্তার দান। নদীর ক্ষতি কোন বাঙালি করতে পারেনা। নদী বাঁচলে স্বাধীন বাংলাদেশ বাঁচবে। নদী মরে গেলে মানুষ বাঁচার কোন সুযোগ থাকবে না। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের জন্য মৃত্যুর শেষ পূর্ব মূহুর্তেও মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা এদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি নদী দখলমুক্ত রাখতে নির্দেশ প্রদান করছেন। দখলবাজদের তালিকাও তৈরী করা হয়েছে। কিন্তু কোথায় যেন গয়লত রয়েছে। নদীর দখলবাজরা কি সরকার প্রধানের চেয়ে আরো শক্তিশালি?
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যদি তাঁর পিতার নির্দেশ মত দেশকে পরিচালিত করতে চান, তাহলে এদেশের মানুষের স্বার্থে নদীকে দখলমুক্ত করতে হবে। আর তা এ সরকারের আমলেই হতে হবে। বিশ্বনাথের মত জায়গায় বাসিয়া নদীতে ময়লার বাগাড় দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে সুলতানা কামাল বলেন, জনগণ সচেতন হলেই দখলবাজরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
গতকাল শনিবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ নতুন বাজাস্থ বাসস্ট্যান্ডে বাচাঁয় বাসিয়া আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন সুলতানা কামাল। বাঁচায় বাসিয়া আন্দোলনের আহবায়ক ফজল খানের সভাপতিত্বে ও আব্দুল বাতিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল, উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান, সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক প্রমুখ।