অধ্যক্ষকে হয়রানি : বিশ্বনাথ এলাহাবাদ মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চি ইউনিয়নের তেলিকোনা গ্রামে ‘এলাহাবাদ আলিম মাদরাসায়’ উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের অঘটন ঘটার আশংকা রয়েছে। গতকাল রোববার সকালে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ৫ দফা দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ মিছিল করেছে। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে একটি মহল মাদরাসাটিকে ব্যাক্তিস্বার্থে ব্যবহারের জন্য মাদরাসায় বিশৃংখা সৃষ্টি করছে। তারা লেখা পড়ার সুষ্ট পরিবেশ ও নিরাপত্তার দাবি জানায়। শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি গুলো হচ্ছে, (১) মাদরাসায় বহিরাগতদের দ্বারা বিশৃংখলা বন্ধ, (২) মাদরাসার অধ্যক্ষকে অপমান ও অপপ্রচারের জন্য দায়িদের নিংশর্ত ক্ষমা চাওয়া, (৩) গভনিং বডির সভায় বহিরাগতদের আসা বন্ধ করা, (৪) খোলা মেলা পরিবেশে উপযুক্ত জায়গায় মাদরাসার ভবণ নির্মান করা, (৫) শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জান মালের নিরাপত্তা প্রদান। অধ্যক্ষের অবমাননা শিক্ষার্থীরা সইবেনা শ্লোগান দিয়ে মিছিলটি রাজাগঞ্জ বাজার সহ এলাকা ঘুরে এসে মাদরাসা প্রঙ্গনে শেষ হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, আলিম ২য় বর্ষের ছাত্র মাছুম হোসাইন, জাহির আহমদ, আলিম ১ বর্ষের ছাত্র মোজাক্কির আহমদ, আব্দুল গফ্ফার, ১০ম শ্রেণীর ছাত্র নোমান আহমদ, জুয়েল আহমদ প্রমুখ। এদিকে প্রতিপক্ষের একটি গ্রæপ নূর আহমদের বাড়িতে ইট পাটকেল ও চেয়ার ভেঙ্গে জমায়েত করে রাখে। ঘটনার খবর পেয়ে এসআই অলক দাস ও তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এক পর্যায়ে এসআই অলক দাস মাদরাসার অধ্যক্ষকে প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় অশালিন আচরণ ও দোষারোপ করতে থাকেন। কিন্তু অধ্যক্ষ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা মাদ্সার সুষ্ট পরিবেশের জন্য প্রতিবাদ মিছিল করেছে। ভাঙ্গা ইট পাটকেল দিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কৌশল করেছিল প্রতিপক্ষ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতে সে কৌশল ভেস্তে যায়।
উল্লেখ্য যে, বেশ কিছুদিন ধরে মাদরাসার একটি ভবন নির্মানের জায়গা নিয়ে মাদরাসায় জটিলতা সৃষ্টি হয়। ১৯৭২ সালে এলাকাবাসির সহযোগীতায় মাদরাসাটি প্রতিষ্টিত হয়। কিন্তু মাদরাসাটি এক পর্যায়ে একটি পরিবারের দখলে চলে যায়। অভিযোগ রয়েছে, রাতের বেলা সিলেট অঞ্চলের জামাত শিবিরের কর্মীদের এখানে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। বিদেশ থেকেও অর্থের যোগান দেয়া হয়। বিষয়টি এলাবাসি শিক্ষামন্ত্রী পুলিশ প্রশাসন সহ অভিযোগ দায়ের করলে একটি গোষ্টি অধ্যক্ষকে দায়ী করে তাকে নানা ভাবে হয়রানি শুরু করে। অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন আল্লামা ফুলতলীর (র.) অনুসারি এবং জমিয়তুল মোদারেসিনের একজন সদস্য। মাদরাসায় বর্তমানে মাত্র ১১ শতক ভুমি রয়েছে। এই ভুমিতে সরকারি বিধান মতে নতুন ভবন হওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাই অধ্যক্ষ সরকারি বিধান মতে ৮০ শতক ভুমির উপর মাদরাসা স্থানান্তরের প্রস্তাব করলে তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান প্রতিপক্ষের লোক জন। তার বিরুদ্ধেও বিভিন্ন দফতরে সাজানো অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রশাসনের ক্ষতিপয় কর্মকর্তা রহস্যজনক কারনে জামাত শিবিরদের কৌশলে সহায়তা করছেন বলে স্থানীয় জনসাধারনের অভিযোগ। নিরপেক্ষভাবে একটি তদন্ত কমিটি গঠন পূর্বক এই মাদরাসাটি ধবংসের হাত থেকে রক্ষা করা এবং দায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এখন একান্ত জরুরী।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *