বিশ্বনাথে দাতা প্রতিষ্ঠাতা হতে না পেরে মাদরাসা ধবংসের পায়তারা

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার এলাহাবাদ আলিম মাদরাসাটিকে জামাত শিবিরের ধবংসের হাত থেকে রক্ষার জন্য শিক্ষামন্ত্রীসহ সরকারের উর্ধতন মহলে অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। এলাবাসির দাখিলকৃত অভিযোগে বলা হয় ১৯৭০ সালে তেলিকোনা গ্রামের এ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সরকারি বিধান মতে একটি মাদরাসায় ৮০ শতক ভূমি সরকার বরাবরে দান করে দিতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এ মাদরাসায় ১১ শতক ভূমি রয়েছে এবং মাদরাসার দুই দিকে বাড়ি উত্তর দিকে প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পশ্চিম দিকে কবরস্থান ও মসজিদ রয়েছে। মাদরাসার অধ্যক্ষ আবু তাহির মোহাম্মদ হোসাইন সরকারি বিধান মতে তেলিকোনা গ্রামের উত্তরে ৮০ শতক ভূমির উপর মাদরাসা নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং এলাবাসির বৈঠকে স্থানটি উপযুক্ত মনে করে সিদ্ধান্ত গ্রহীত হয়। কিন্তু তেলিকোনা গ্রামের মৃত ওলীউর রহমানের ভাই মখলিসুর রহমান জোর পূর্বক দাতা হওয়ার চেষ্টা করলে অধ্যক্ষের সাথে তার বিরুধ দেখা দেয় এবং এলাকার সিদ্ধান্ত রেজুলেশনটি কেটে ফেলেন। সে অধ্যক্ষকে হুমকি দেয় যে তাদের পছন্দের জায়গায়ই মাদরাসার নতুন ভবণ নির্মান করা হবে। সরকারের বিধি বিধান সে মানতে রাজি নয়। ওলীউর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন এ প্রতিষ্টানে গভনিং বডির সভাপতি। তিনি কোন দিন সভায় না আসলেও সভাপতির পদ আকড়ে ধরে রয়েছেন।
অভিযোগে আরো বলা হয় মৃত ওলীউর রহমানের পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসি নুরুর রহমান এবং সিদ্দিকুর রহমান ও আমিনুর রহমান জামাত শিবির রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। নুরুর রহমান আর-রাহমান এডুকেশন ট্রাস্ট নামের একটি সংগঠনের মাধ্যমে জামাত শিবিরের ডোনার হিসেবে কাজ করছেন। এই মাদরাসাটি নুরুর রহমানের ঘরের সাথে সংযুক্ত থাকায় অতি গোপনে ইত্তেহাদুল কুররা বাংলাদেশ নামে শিবিরের লোকজনের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। যেটিকে কেউ কেউ বিশবিরের আখড়া বলে আখ্যায়িত করেন। তারা মাদরাসাটিতে কোনদিন জাতীয় দিবস পালন করতে দেয়না। গত ১৬ ডিসেম্বর মাদরাসার অধ্যক্ষ বিজয় দিবস পালন করতে চাইলে তাকে নানাভাবে হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এলাবাসি জামাত শিবিরের হাত থেকে মাদরাসাটিকে রক্ষার জন্য শিক্ষা সচিব, আইজিপি সহ সরকারের উর্ধতন মহলে অভিযোগ দায়ের করেন। জামাত শিবির চক্রটি মাদরাসাটিকে ৮০শতক ভূমিতে স্থানান্তর না করে নিজের বাড়ি বাউন্ডারির ভেতরে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। এতে এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। মাদরাসাটি স্থানান্তর না করা হলে মারাত্বক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *