ডেক্স রিপোর্ট : নদী খননের দায়িত্বে থাকলেও একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রজাতির ৪০টিরও বেশি গাছ কেটে নিয়েছে অবৈধভাবে। স্থানীয় জনসাধারণ গাছ কাটতে বাঁধা আপত্তি করলে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দেয়ার হুমকি দেয়া হয়। গাছ কাটার সংবাদ শুনে সাংবাদিকরা ঘঠনাস্থলে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের ম্যানেজিং ডিরেক্টর পরিচয় দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার পাবেল হোসেন নামের এক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, বুঝে শুনে নিউজ করবেন, আমার হাত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত রয়েছে। সাবধান বিপদে পড়ার চেষ্টা করবেন না।
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ১নং লামাকাজি ইউনিয়নের হাজারি গাঁও গ্রামের পাশ থেকে বয়ে যাওয়া মরা সুরমা থেকে জগন্নাথপুর পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার নদী খননের কাজ শুরু হয়েছে। এই নদী খননে দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্টান কার্য্যাদেশ পেয়ে কাজ শুরু করেছে। প্রথম ঠিকাদারি প্রতিষ্টান মরা সুরমা থেকে খনন কাজ শুরু করলে ২য় ঠিকাদারি প্রতিষ্টান মেসার্স পূবালি এন্টারপ্রাইজ দৌলতপুর ইউনিয়নে সোনালি বাংলাবাজার এলাকায় মাকুন্দা নদী খননের কাজ শুরু করে। নদী খনন কাজ শুরু করেই ঠিকাদারি প্রতিষ্টানের কুদৃষ্টি পড়ে যায় নদীর তীরের ৪০টির বেশি অতি মূল্যবান গাছের উপর। মেহগুনি, কদম, বটসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪লাখ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্টান। স্থানীয় লোকজন গাছ কাটার কারন জানতে চাইলে ঠিকাদারের লোকজন ক্ষীপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকদের হুমকি দিয়ে বলে ঠিকাদার সারের বাড়ি গোপালগঞ্জে। তার হাত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় পর্যন্ত। গাছ কাটার অভিযোগ যে করবে সেই জেলে যেতে হবে। আমি গাছ কেটেছি গাছ লাগিয়ে দেব। এমন অবস্থায় স্থানীয় জন সাধারনের মধ্যে চরম উত্তেজনা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্টান নদীর তীরের কোন গাছ কাটার দায়িত্ব না থাকলেও বেআইনি ভাবে গাছ কেটে নদী খননের চুক্তি ভঙ্গ করেছে প্রতিষ্টানটি। তাই প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি করছেন এলাকাবাসি।