ডেক্স রিপোর্ট : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রাম থেকে একই রাতে দুই ভাইয়ের ২টি অটোরিক্সা সিএনজি চুরি হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
(২৭ নভেম্বর) শনিবার দিবাগত রাতে সাতপাড়া গ্রামের সেবুল মিয়ার গ্যারেজ থেকে এ দুটি অটোরিক্সা সিএনজি চুরি হয়। তবে দুটি গাড়ি চুরি হলেও একটি গাড়ি পরিত্যাক্ত অবস্থায় উপজেলার দশপাইকা গ্রামে নোরাই শাহ মাজারের কাছে পাওয়া গেছে। একই গ্রামের সেবুল মিয়ার দায়িত্বে তার গ্যারেজে মোট ৪টি গাড়ি থাকে। এর মধ্যে দুই ভাইয়ের এ দুটি গাড়ি কিভাবে চুরি হল এ নিয়ে এলাকায় রহস্যের সৃষ্টি দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।
সাতপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হকের পুত্র গাড়ি চালক জানে আলমের কাছ থেকে জানাগেছে, প্রতিদিনের ন্যায় শনিবার রাত অনুমান ১০টার দিকে (সেবুল মিয়ার গাড়ির গ্যারেজে) গাড়িটি বন্ধ করে দুই ভাই বাড়িতে চলে যায়। পরদিন (শনিবার) সকালে পূণরায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়ার জন্য গ্যারেজে গেলে গ্যারেজের দরজা খোলা পায় এবং তারা দুই ভাইয়ের ওই দুটি গাড়ি নেই। সাথে সাথে তিনি গ্যারেজের মালিক সেবুল মিয়াকে খুজতে থাকেন এবং সেবুল মিয়ার কাছ থেকে জানতে চান তার গাড়ি কোথায়। সেবুল মিয়া প্রতিরাতে তার গ্যারেজ পাহারা দেয়ার কথা থাকলেও ওই রাতে সেবুল মিয়া গ্যারেজ পাহারা না দিয়ে তার বাড়িতে ছিল বলে জানায়।
বিষয়টি চর্তুদিকে জানাজানি হলে এলাকার লোকজন সেবুল মিয়াকে গাড়ি দুটি বের করে দিতে চাপ সৃষ্টি করেন। তখন সেবুল ওই দিন (শনিবার) দুপুর ১টার মধ্যে গাড়ি বের করে দেবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয় এবং গাড়ির চালক দুজনকে ছাতক বাংলা বাজার এলাকায় (বন্ড বাবা) নামের এক কবিরাজের কাছে তাদেরকে নিয়ে যান। কবিরাজ গাড়ি চালকের কাছ থেকে (৩ হাজার টাকা নিয়ে) তথ্য দিলেন গাড়িটি আছে আউসকান্দি এলাকায়। আউসকান্দি এলাকা ঘুরে কোন সন্ধান না পেয়ে অবশেষে দিন ফুরিয়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সারস্থ হন গাড়ি চালক জানে আলম।
এ ব্যাপারে জানে আলমের পরিবার পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন। তবে এলাকার সচেতন মহলের দাবি, এ রহস্যময় ঘটনা দ্রুত উদঘাটন করে দায়িদের আইনের আওতায় আনা হউক।
এ ব্যাপারে থানার ওসি শামিম মুসার সাথে কথা হলে তিনি জানান, সন্ধার অনের পরে বিষয়টি জেনেছেন। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।