ডাকাত আতঙ্কে বিশ্বনাথবাসি

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা জুড়ে হঠাৎ করে ডাকাত আতঙ্ক দেখা দেয়। ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ‘আজ রাতে ডাকাত পড়তে পারে’ এমন খবরে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে সবার মাঝে। স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরাও ফেসবুকে ‘জনৈক মখরম ডাকাত দলবল নিয়ে বিশ্বনাথে প্রবেশ করেছে’ মর্মে প্রচার করলে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়। পরে এলাকার মসজিদে মসজিদে প্রচার করা হয় ডাকাত প্রতিরোধের বিশেষ ঘোষণা। তবে এ ঘোষণা আদৌ সত্য না গুজব তা নিশ্চিত করতে পারে নি কেউ। ঘোষণার পর গ্রামে গ্রামে রাত জেগে সাধারণ মানুষ পাহারা দিলেও কোথাও মিলেনি ডাকাতের দেখা। কেনইবা এই ধরণের গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কের মধ্যে রাখা হলো? এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি কারো কাছে।  

সূত্র জানায়, শীত এলেই প্রবাসী অধ্যুষিত এ অঞ্চলের প্রবাসীরা স্বদেশে আসেন। আর ওই সময়টাতেই এ উপজেলায় ডাকাতি সংঘঠিত হবার খবর পাওয়া যায়। গত বুধবারও (৪ ডিসেম্বর) উপজেলার বাহাড়াদুবাগ গ্রামের আবদুল খালিকের বাড়িতেও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশপরা একদল ডাকাত গেটের তালা ও দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। অস্ত্রের মুখে সবাইকে জিম্মি করে স্বর্ণ, টাকা ও মোবাইল ফোনসহ মূল্যবাদ জিনিসপত্র নিয়ে যায়। আর এরকম ঘটনার সুযোগে প্রায় বছর ডাকাত হানা দেবার ‘গুজব’ও ছড়ানো হয়। ২০১৬ সালে একইভাবে এক রাতে ডাকাত হানা দেয়ার ‘গুজবে’ আতঙ্কিত সময় পার করে ছিলেন এ উপজেলার মানুষ।  

শুক্রবার রাতে ছড়ানো এ গুজব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলেছেন, ডাকাত দলবল নিয়ে এলাকায় প্রবেশের খবর প্রচার করা হলো কিন্তু তাদের অবস্থান নিশ্চিত করে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? ডাকাত প্রতিরোধে ডাকাতের নাম উল্লেখ করে প্রচারণার পেছনের যুক্তিটা কি? সেই ডাকাত আদৌ কি  পাকড়াও হবে? প্রশাসনযন্ত্র কি ডাকাতের কাছে অসহায়?  

হরিকলস গ্রামের বেলাল উদ্দিন জানান, আমরা সাধারণ মানুষ গুজবকে সত্য ভেবে সারা রাত পাহারায় ছিলাম। জানমালের স্বার্থে জনসাধারণ সচেতন থাকা উত্তম। কিন্তু গুজব ছড়িয়ে মানুষকে আতঙ্কে রাখা অন্যায়।

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইন-চার্জ শামীম মুসা বলেন, জানমালের নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকেও এগিয়ে আসতে হবে। ওইদিন আমাদের কাছে খবর আসে যে, ছাতক হয়ে একটি ডাকাত দল আমাদের এলাকায় প্রবেশ করেছে। তবে এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *