আব্দুস সালাম, বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বর্ণালী পাল বলেছেন, বর্তমান সরকার কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে সরকার বিনা মূল্যে বীজ-সার বিতরণ করছেন। যে কারনে দেশে বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কৃষকের ভূমিকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। প্রকৃত কৃষক যাতে সার বীজ পায় সে জন্য সঠিক ও নিভূল তালিকা তৈরী করতে হবে। কারন এদেশের কৃষকরাই আমাদের মুল সম্পদ। কৃষকের উন্নতি মানে দেশের উন্নতি। তাই সরকার বুঝে শুনেই ভর্তুকী দিয়ে কৃষকদের বীজ সার দিয়ে সহায়তা করছেন।
সোমবার বিশ্বনাথে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বীজ ও সার বিতরণ কালে তিনি সংকিপ্ত বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৮০৫ জন কৃষককে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করেন তিনি।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে রবি এবং ২০১৯-২০ মৌসুমে ভ‚ট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, শীতকালীন মুগ ও পরবর্তী খরিপ-১ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন মুগ প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় কৃষকদের মধ্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়। এতে বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষকদের মধ্যে ৩৮০ জন সরিষার, ৩৮০ জন ভ‚ট্টার, ৫ জন সূর্যমুখীর, ৩০ জন শীতকালীন মুগের ও ১০ জন গ্রীষ্মকালীন মুগের বীজ পেয়েছেন।
এর মধ্যে সরিষা আবাদকারী কৃষকরা জনপ্রতি ১ কেজি বীজ এবং ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, ভ‚ট্টা আবাদকারী প্রতি কৃষক ২ কেজি বীজ এবং ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, সূর্যমুখী আবাদকারী কৃষকরা জনপ্রতি ১.৫ কেজি বীজ এবং ২০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, শীতকালীন মুগ আবাদকারী কৃষকরা জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার, গ্রীষ্মকালীন মুগ আবাদকারী কৃষকরা জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ এবং ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পেয়েছেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রমজান আলীর সভাপতিত্বে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবদুল্লাহ-আল জুবায়ের, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোসাদ্দিক হোসেন সাজুল।