ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৪নং রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য জামাল আহমদের ডাকা প্রতিবাদ সভা পন্ড করে দিয়েছে থানা পুলিশ। জামাল আহমদ রামাপাশা ইউনয়িনের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী ইর্শাদ আলীর ছেলে। (৮ নভেম্বর) শুক্রবার বিকেলে থানা পুলিশের এসআই দিদারুল আলমসহ একদল পুলিশ আশুগঞ্জ বাজারে গিয়ে এ প্রতিবাদ সভা পন্ড করে দেন। এসময় পুলিশ সভা থেকে মাইক কেড়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগও উঠেছে। একজন ইউপি সদস্যের একটি প্রতিবাদ সভা এভাবে ভেঙ্গে দেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সিলেটের পুলিশ সুপার বরাবরে পাটাকইন গ্রামের ব্যবসায়ী তবারক আলীর পক্ষে একটি স্মারকলিপি দেন এলাকাবসী। ২৪১জন স্বাক্ষরিত ওই স্মারকলিপিতে ইউপি সদস্য জামাল আহমদও স্বাক্ষর করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তবারক আলীকে ইয়াবা সুমন আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে একটিপক্ষ এলাকার আব্দুশ শহীদ বাদশা মিয়া, চুনু মিয়া, সিরাজ মিয়া, আতিক মিয়াসহ ২৮৩জনের স্বাক্ষর নিয়ে পুলিশ সুপার বরাবরে পাল্টা আরেকটি স্বারকলিপি দেন। ওই স্মারকলিপিতে ইউপি সদস্য জামাল আহমদকে তবারক আলীর প্রধান সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করায় তিনি (জামাল মেম্বার) শুক্রবার আশুগঞ্জ বাজারে ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে অবহিতকরণ একটি প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেন। কিন্তু সভা শুরুতেই বিশ^নাথ থানা পুলিশ ওই প্রতিবাদ সভা পন্ড করে দেয়। পরে রাত সোয়া ৭টায় বাসিয়া সেতুর উপর দাঁড়িয়ে তারা মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।
আশুগঞ্জ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হাজী আব্দুল গফুরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য জামাল আহমদ, স্থানীয় ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, আয়াজ আলী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফ উদ্দিন গেদা, উপজেলা বিআরডিবি’র সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেছার আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আশ্রব আলী, হাজী ওয়ারিছ আলী, বিশিস্ট মুরব্বী হাজী আব্দুশ শুকুর, হাজী ছখা মিয়া, ফয়ছল আহমদ।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য জামাল আহমদ অভিযোগ করে বলেন, থানা পুলিশ তার সভা পন্ড করে দেয়, এরপর ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। কিন্তু তার পরও সন্ধ্যায় ওয়ার্ডবাসীকে নিয়ে থানায় গেলে ওসি শামীম মুসা তাদের সঙ্গে দেখা করেন নি। ফলে, রাত সোয়া ৭টায় বাসিয়া ব্রিজের ওপর তারা একটি মানববন্ধন করেছেন।
বিশ্বনাথ থানার এসআই দিদারুল আলম জানান, ওসি স্যারের নির্দেশ ছিল তাই মেম্বারের প্রতিবাদ সভা পন্ড করেছি।
থানা এলাকায় না থাকায় জামাল মেম্বারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে পারেননি জানিয়ে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ শামীম মুসা জানান, আশুগঞ্জ বাজারে জামাল মেম্বার ও তার প্রতিপক্ষ একই সময়ে সভা ডাকায় তাদের এ সভা পন্ড করা হয়েছে। তবে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা জানান, আশুগঞ্জ বাজারে কোন সংঘর্ষের আশংকা ছিল না। উদ্দেশ্যমুলকভাবে পুলিশ এ সভাটি পন্ড করেছে। পুলিশের এমন আচরনে এলাকায় দারুণ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি দেখা দিয়েছে। তারা উর্ধতন কতৃপক্ষের দারস্থ হবেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।