ডাক ডেক্স : বিশ্বনাথ উপজেলার অলংকারি ইউনিয়নে গত ৮দিনে ১৩টি গরু চোরির ঘটনা ঘটেছে। গত ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে টেংরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধার আকমল আলীর স্ত্রী আছারুন নেছার ৩টি গরু অনুমান মূল্য দেড় লক্ষ টাকা, একই তারিখে একই গ্রামের সুরুজ টিকাদারের ৩টি গরু অনুমান মূল্য ১লক্ষ টাকা, গত ২৮ অক্টোবর রাতে বেতসান্দি গ্রামের মাওলানা এবাদুর রহমানের ৩টি উন্নত জাতের গাভি অনুমান মূল্য আড়াই লক্ষ টাকা, এর দু’দিন আগে ছনখাড়ি গাঁও গ্রামের বাবুল মিয়ার ২টি গরু অনুমান মূল্য ১ লক্ষ টাকা। নিজ গাঁও গ্রাম থেকে আরো ৩টি গরু চোরির খবর পাওয়া গেছে। এখানে একটি লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে, আছারুন নেছা ও সুরুজ টিকাদারের গরটি নিয়ে যাওয়ার সময় একটি গরু ফেলে যায়। ২টি গরু দূর্বল থাকায় তাড়াহুড়া করে চোর নিয়ে পারেনি। আছারুন নেছার একটি গরুর গলায় একটি লুঙ্গি বাঁধা পাওয়া যায়। এই লুঙ্গি তাদের এলাকার একজন চিহ্নিত চোরের বলে জানাযায়।
মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী আছারুন নেছা গত ২৯ অক্টোবর মামলা দায়ের করতে বিশ্বনাথ থানায় যান। তিনি গরু চোরের নাম সহ থানায় এজাহার দিতে চাইলে থানার ওসি অজ্ঞাতনামা আসামি দিয়ে মামলা রুজুর কথা জানান।
ওসি জানান, গরু চোরকে ধরে নিয়ে আসবেন। তার পর মামলা নেব। এমন অবস্থায় অসহায় মহিলা থানায় এজাহার না দিয়ে একটি জিডি করে বাড়িতে ফিরে আসেন। গত ৩০ অক্টোবর বুধবার টেংরা এলাকার বিপুল সংখ্যাক লোক এক বৈঠকে গরু চুরি বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে গরু চোরদের গ্রেফতার এবং চুরি বন্ধে উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এ ব্যাপারে থানার ওসি শামিম মুসা জানান, আছারুন নেছা থানায় মামলা নিয়ে আসার কথা থাকলেও পরে আর আসেনি।
গত ১১ জুলাই সিলেটের নবাগত পুলিশ সুপার বিশ্বনাথে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ দমনে এক সভায় উপস্থিত হলে তার নিকট টেংরা এলাকার গরু চুরির বিষয়ে অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষনিক দুষিদের গেফতারের নির্দেশ দেন। এ নির্দেশের প্রেক্ষিতে টেংরা গ্রামেন আব্দুল মন্নানের পুত্র ছইল মিয়া উরফে ছোয়াদ কে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রায় ৩ মাস হাজতবাস শেষে জামিনে মুক্তি পায়। গরু চুরির অভিযোগ থানা পুলিশ আমলে নেয়নি বিধায় অনেকেই গরু চুরির বিরুদ্ধে কেউ থানায় যেতে আগ্রহী নয়।