বিশ্বনাথে মাজারের ভুমি নিয়ে বিরোধ : জিডি নেয়নি বিশ্বনাথ থানা পুলিশ

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারি ইউনিয়নের পিটাকরা গ্রামে হযরত শাহ সিকান্দার (রাঃ) মাজার ও মাজারের ভুমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে চরম বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। ইতি মধ্যে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে তদন্তও হয়েছে। হযরত শাহ সিকান্দারের উত্তরাধীকারি ইলিয়াছ (আল-হুমাইদি) তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্বনাথ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা  ডায়েরি গ্রহন না করে ইলিয়াস আল-হুমাইদীর সাথে অপমান জনক আচরন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার জিডিএনটি গ্রহন না করায় পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করেছেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমানী নগর সার্কেলের সাথে সাক্ষাত করে বিষয়টি অবহিত করেছেন।

ইলিয়াছ হুমাইদি বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকম কার্যালয়ে শাহ সিকান্দর (র.) মাজারের ভুমি সহ অন্যান্য ভুমি এসএ ও বর্তমান বিএস রেকর্ডের ফর্সা দাখিল করেন। ভুমির এসএ কাগজপত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় পিটাকরা মৌজার জেএল নং-৩৫, খতিয়ান নং-২০ এর ১০১৭, ১০১৮ ও ১০১৯ নং দাগে ৮০ শতক ভুমি শাহ সিকান্দার দরগাহের পক্ষে জহুর আলী, পিতা হাছন আলী নামে রেকর্ড রয়েছে। একই মৌজার ২৪৮নং খতিয়ানের ৭০৯, ৭১৬, ৭১৮নং দাগে ২ একর ৫৬ শতক ভুমি শাহ সিকান্দর দরগাহের পক্ষে মোতাওয়াল্লি জহুর আলী, পিতা হাছন আলী, সাং পিটাকরা নামে রেকর্ড ভূক্ত রয়েছে। একইভাবে বর্ণীত ভূমি বিএস রেকর্ডের জেএল নং-৩৫, খতিয়ান নং-৪৬৪, দাগ নং-৮১১ ও ১০০৭ দু’টি দাগে শাহ সিকান্দার দরগাহ কমিটির পক্ষে সেক্রেটারি পরিস্কার ভাবেই ৩ একর ৩৬ শতাংশ উল্লেখ রয়েছে। প্রতিপক্ষ  মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দাবিদার সাবেক মেম্বার আব্দুল অদুদ আজাদ গংদের দাবি একটি দলিলের মাধ্যমে খরিদা সুত্রে তারা মালিক।কিন্তু এসএ কিংবা বিএস রেকর্ড  তাদের নামে হয়নি।

ইলিয়াস আল-হুমাইদী তাদের দলিলকে জাল উল্লেখ করে বলেন, তাদের দলিল সঠিক হলে তারা বিএস রেকর্ড করাতে পারতেন। কিংবা আইনের আশ্রয় না নিয়ে জোর পূর্বক আমার দখলিয় জমি দখলের চেষ্টা ও প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এই বিরোধ নিস্পত্তির কথা বলে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল টাকার খেলা শুরু করেছেন। আমি গরিব টাকা নাই বিদায় আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। থানা পুলিশকে ভূল বুঝিয়ে আমার ডিজি গ্রহনেও তারা বাঁধা দিয়েছেন। তাদের টাকার কাছে আমি অসহায়। থানা পুলিশ আমার জিডি গ্রহন না করায় গত ৩০ সেপ্টম্বর পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ দাখিল করি।  

ইলিয়াস হুমাইদীর পুলিশ সুপার বরাবরে দাখিলকৃত অভিযোগটি গত  ২৪ অক্টোবর বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুল লতিফ সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করেন। এ ব্যাপারে এসআই আব্দুল লতিফ জানান, ইলিয়াস হুমাইদীর কাগজপত্র সঠিক আছে। কিন্তু দু’পক্ষে মধ্যে উত্তেজনা আছে। উভয় পক্ষকে কোন হাঙ্গামা না করার জন্য অনুরোদ করা হয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *