বিশ্বনাথে হাবড়া বাজারে মদ-জুয়া-গাজার মহোৎসব ? সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

Uncategorized
শেয়ার করুন

ডাক ডেক্স : মাদক মানুষের মস্তিষ্কের খাদক। মাদকের প্রতিক্রিয়া সমাজ ও রাষ্ট্রে সুদূরপ্রসারী। মাদক সমাজ রাষ্ট্র জাতি ধবংস করে দেয়। গত ৫ বছরে মাদকাসক্ত ছেলের হাতে প্রায় চার শত মাতা-পিতা খুন হয়েছেন। মাদকাসক্ত স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন আড়াই শতাধিক নারী। এভাবে মাদক, পরিবার ও সমাজে অশান্তির সৃষ্টি করছে।
বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমে মাদকের কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশের পর লোক দেখানো তৎপরতা দেখা গেছে বটে, কিন্তু যেদিকে অনুসন্ধান করা যায় সেদিকেই মাদকের দূর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে, দৌলতপুর উইনিয়নের ঐতিহ্যবাহী হাবড়া বাজার এখন মাছ বাজারের পরিবর্তে মদ, জুয়া ও গাজার মহোৎসব চলছে। বাজারের আশপাশে লুকিয়ে মদ, গাজা রেখে বিকেলে বা সন্ধার দিকে গাজার পুরিয়া গোপনে গোপনে বিত্রি করা হয়। বাজারের বাহিরে মাদক ব্যবসায়িরা নিজস্ব লোক দাঁড়িয়ে রাখে, বিপদ সংকেত জানার জন্য। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী আসার খবর পেলেই বিশেষ সংকেতের মাধ্যমে মাদক বিক্রেতাদের সরিয়ে দেয়া হয়। তার পর সব ঠিক-ঠাক। মাদক ব্যবসায়িরা বাজারের আশপাশে তাদের নিজস্ব লোক ও দাঁড় করিয়ে রাখে এই ভেবে যে, সেখানে মাদক সম্পর্কে কেউ জানতে চাইলে তারা সাফাই স্বাক্ষীদের এ অঞ্চলে কেউ মাদক ব্যবসায়ি নেই। এমন অভিনব পন্থায় মাদক ব্যবসা চলছে। জোয়ার কথা বলাই বাহুল্য। ভারতীয় তীর খেলা সহ নানা ধরনের জুয়া খেলা দিবানিশি চলছে হাবড়া বাজারে। দেখার যেন কেউ নেই। মাঝে মধ্যে কেউ কেউ আইন নিয়ে গেলে তাদেরকে আদর যত্ন ও যথাযত সম্মান করে দেয়া হয়। সুতরাং জুয়া খেলাও, টাকা কামাই কর, মদ- গাজা খাও অসুবিধা নেই। সমাজ ধবংস হলে আমার কিছু আসে যায় না। হাবড়া বাজার এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি ব্যঙ্গ করে বললেন, এক সময় চাউল ধনী হাওরে মিষ্টি পানির প্রচুর মাছ সস্তায় হাবজা বাজারে পাওয়া যেত। এখন এর বদলে বাজার ও এলাকা দখল করেছে সর্বনাশি মদ ও গাজা। তিনি বিনয়ের সাথে আরো জানালেন, ভদ্রবেশিরা মাদক বেচা কেনায় জড়িত বলে কেউ টু শব্দ করছেনা।
যখন এ প্রতিবেদনটি তৈরী করা হয় তখন মৃদু একটি সু-সংবাদ পাওয়া গেল। বিশ্বনাথ থানা পুলিশ হাবড়া বাড়ার এলাকা থেকে একজন মাদক মামলার ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃত আসামির নাম নুরুল আফরোজ বক্স। সে উপজেলার সত্তিশ (উত্তর) গ্রামের মৃত আফরোজ বক্সের পুত্র। বিশ্বনাথ থানার (মামলা নং-১৭ তারিখ ২০/০৪/২০১৪ইং)। গতকাল রাতে থানার এএসআই সাইফুল ইসলাম ও দীপক সুত্র ধরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।
মাদক সম্পর্কে যে কোন তথ্য পেলে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমকে অবহিত করতে অনুরোধ করা গেলে। নাম ঠিকানা পরিচয় গোপন রাখা হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *