ডাক ডেক্স : সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা থানা সদর থেকে উত্তর পশ্চিমে প্রায় ৪ কিলোমিটার দুরে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি রয়েছে। কমপ্লেক্সের আশপাশে কয়েকটি চা-স্টল রয়েছে। এই এলাকার গ্রাম গুলো এক সময় একেবারে নীরিবিলি শান্তসৃষ্ট ছিল। কিন্তু কিছু অর্থলোভীদের কারনে শান্তিপ্রিয় গ্রাম যেন অশান্তির কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এখানে মাদকের একটি সিন্ডিকেট এলাকা ধবংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
বোঝার কোন উপায় নেই যে, একটি টং-ঘরের চা-স্টলে ইয়াবা, গাজা ও মদ সহ মাদকদ্রব্য বেচা কেনা হচ্ছে। এখানে মাদক ব্যবসার একটি অলিখিত অনুমতিও রয়েছে। প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা মাদকের দোকান থেকে নিয়মিত বখরাও আদায় করছেন। এই কর্মকর্তার নামের প্রথম অক্ষর ‘র, রয়েছে। কিছু মাদকাসক্তদের এ চা-স্টলে আনাগোনা দেখে সন্দেহের সৃষ্টি হলে বিশ্বনাথের ডাক ২৪ ডটকমের পক্ষে অনুসন্ধান শুরু হয়। প্রাপ্ত তথ্য মতে সাধারণত চা বিক্রি হলে পর্দার আড়ালে মাদক দ্রব্য বিক্রি হচ্ছে। একজন মাদকাসক্ত এই প্রতিনিধিকে চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেছে, এখানে কেউ মাদক বিক্রি বন্ধ করতে পারবেনা। কারন চুনাপুটি নেতা ও প্রশাসন এখান থেকে নিয়মিত টাকা নেয়। তাহলে মাদক বিক্রি বন্ধ করবে কে? ইতিপূর্বে এই এলাকার কয়েকজন মাদক বিক্রেতা গ্রেফতার হয়ে হাজতবাসও করেছে।
সিলেটের নবাগত পুলিশ সুপার বিশ্বনাথের একটি অনুষ্টানে কঠোর ভাষায় মাদকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেছিলেন। নবাগত অফিসার ইনচার্জ ও তার সম্ভর্ধনা সভায় মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। কিন্তু মাদক সেবি ও বিক্রেতাদের কানে এমন হুশিয়ারি হয়তো পৌছেনি। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এলাকার কয়েকটি গ্রামে ব্যাপক হারে মাদক ব্যবহার হচ্ছে। এখানে একটি সিন্ডিকেট ও রয়েছে। এতে ভদ্রবেশি লোকজন ও জড়িত। বিষয়টির ব্যাপারে উর্ধতন কতৃপক্ষ নজর দিলেই সব বেরিয়ে আসবে।