এসময় চুরির সাথে জড়িত থাকায় রাজনগর গ্রামের জুনাব আলীর পুত্র জানাইয়া গ্রামের শরীফ উদ্দিনের ভাগনা জুয়েল আহমদকে আটক করেছে পুলিশ। সে পেশায় একজন সিএনজি চালক। আটককৃত জুয়েলের স্বীকারোক্তিতে তাকে সাথে নিয়েই পৌর শহরের পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের ময়না মিয়ার ৩ তলা বাড়ি থেকে চোরাইকৃত আরেকটি সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উদ্ধার করে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কানাইঘাট থানা পুলিশ একটি চোরাইকৃত সিএনজি চালিত অটোরিক্সা উদ্ধারের সন্ধানে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানতে পারে সেটি বিশ্বনাথ থানার জানাইয়া গ্রাম এলাকায় রয়েছে। এরপর কানাইঘাট থানা পুলিশ বিষয়টি বিশ্বনাথ থানা পুলিশকে অবহিত করলে দুই থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে শরীফ উদ্দিনের বাড়ি থেকে চোরাইকৃত গাড়ি উদ্ধার করা হয়। জুয়েল চোরাইকৃত গাড়িগুলো চুরি করে এনে বাড়িতে রেখে মেরামত করে বিক্রি করে। এমন তথ্যের ভিত্তিতেই দুই থানা পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। তবে উদ্ধারকৃত ৬টি সিএনজি চালিত অটোরিক্সার মধ্যে দুটির প্রকৃত মালিকানা নিয়ে কাগজপত্র যাচাই-বাচাই চলছে।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চুরির সাথে জড়িত থাকা পুরো সিন্ডিকেটকে গ্রেপ্তারে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জুয়েল তার বাড়ি রাজনগর দাবী করলেও রাজনগরের বাসিন্দারা বলছেন জুয়ের নামে তাদের গ্রামে কোন লোক নেই। এনিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাংবাদিকরা।
