যে কারনে নোহা-সিএনজির সংঘর্ষে প্রাণ গেল সিএনজি চালকের

অপরাধ বিশ্বনাথ সিলেট
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: রশিদপুরগামী নোহা ও জগন্নাথপুরগামী সিএনজি চালিত অটোরিক্সা বায়নপুর আসামাত্র দ্রুতগামি একটি মোটরসাইকেল দুই গাড়ির মধ্যখানে ঢুকে পড়ে। এতেই দূর্ঘটনার সম্মূখীন হয় অটোরিক্সা সিএনজিটি। মোটরসাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা দেয় নোহা গাড়িতে। নিজের গাড়ির রড মাথায় ঢুকে রক্তকরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায় চালক। সিএনজির সামনের সীটে ডান পাশে বসে আসা এক যাত্রী একটি সমজিদের ইমাম বেঁচে গিয়ে গাড়ির ভেতরে থাকা সবাইকে উদ্ধারের পর নিজের শরীরে ও কাপড় ছোপড়ে রক্ত দেখে নিজেই প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পর জ্ঞান ফিরলে একটি গাড়িতে উঠে নিজের বাড়ি ফেরেন। রাত ১০টায় এ প্রতিবেদকের কাছে মর্মান্তিক এ ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি। তিনির সাফ বক্তব্য মোটরসাইকেলই এ দূর্ঘটনার জন্য দায়ি।

সোমবার (১৮ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের বাওনপুর নামক স্থানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি সংগঠিত হয়। নিহত সিএনজি চালকের নাম ইয়াহিয়া মিয়া (৩০), সে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার হবিবপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের মৃত জাহিদ মিয়ার পুত্র। এ ঘটনায় নারী-শিশু’সহ আরো ৪ যাত্রী আহত হয়েছে।

দুঘর্টনার পর বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণ ও পথচারীদের সহযোগীতায় আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

আহতরা হলেন- বিশ্বনাথ উপজেলার ইলিমপুর গ্রামের সাজ্জাদ মিয়ার স্ত্রী রেহানা বেগম (৪৫) ও কন্যা তোহা বেগম (৮), টেংরা (আলীপাড়া) গ্রামের ব্যাংক কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন ও গবিন্দগঞ্জ এলাকার মাওলানা গিয়াস উদ্দিন।

সড়ক দুর্ঘটনায় সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু ও আরোও কয়েক জন আহত হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহযোগীতায় সবাইকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সড়কে থাকা যানজট দূর করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। দুঘর্টনায় কবলিত দুটি গাড়িই পুলিশের জিম্মায় রয়েছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *