নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৩নং অলংকারি ইউনিয়নের অলংকারি গ্রামে কাচা রাস্তার উপর নির্মিত একটি কালভাট নির্মাণ করাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় অলংকারি গ্রামের সুলতান মিয়া বাদী হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৪৪ধারার অপরাধে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটনসহ আরো ৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন, (বিবিধ মামলা নং- ৩৯/২৫ইং)। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আদালত বিশ্বনাথ থানার ওসিকে আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও এসিল্যান্ডকে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ (১৪ মে) বুধবার দুপুরে বিশ্বনাথ থানার এসআই আব্দুস শহীদ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় ও অভিযুক্ত পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন, অলংকারি গ্রামের হাজী তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিককে আগামি ৩জুলাই আদালতে কারন দর্শনোর নোটিশ প্রদান করেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা থেকে কালভাট ছোট এবং ঝুকিপূর্ণ। পুলিশ এবং সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবর পেয়ে এলাকার লোকজন জড়ো হন এবং যাতায়াতের অসুবিধার্থে কালভার্টটি বড় করা প্রয়োজন বলে জোর দাবি জানান।
দাবি সুলতান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, তিনির ব্যক্তি মালিকানা রাস্তায় নিজ খরচে কালভাট নির্মাণ করেছেন। বিনানুমতিতে উপরোক্ত অভিযুক্তরা স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কালভালটি ভেঙ্গে ফেলেন। এতে যাতায়াতের মারাত্বক বিঘœ ঘটছে। অভিযুক্ত চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন বলেন, সরকারি কাজে বাঁধা প্রদান করা হচ্ছে। ঝুকিপূর্ণ এবং অতি ছোট কালভার্টে যাতায়াতে জনসাধারণের অসুবিধা হচ্ছে। এলাকার লোকজন বিষয়টি আমাকে অবগত করায় আমি এডিপির বরাদ্ধ থেকে কাজ শুরু করেছি। হাজী তৈমুছ আলী, আইয়ুব আলী ও আব্দুল খালিক জানান, এটা সরকারি কাজ। অযথা আমাদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে।