নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথে এক প্রতারক প্রেমিকের লালসার স্বীকার হয়েছে এক তরুনী। ঘটনাটি উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দশপাইকা গ্রামে ঘটে। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষন মামলা দায়ের করেছেন ওই প্রেমিকা।
প্রতারক প্রেমিক মজাহিদ আলী দশপাইকা গ্রামের নজিব উল্লাহ পুত্র। আর তরুনীর বিশ্বনাথ পৌরসভার মিয়াজানের গাও গ্রামের শুকুর আলীর মেয়ে।
জানাগেছে, একমাস পূর্বে ১৭বছর বয়সী তরুনী মীরগাও গ্রামে নানা বাড়ি যাচ্ছিলেন। পতিমধ্যে দেখা হয় এক কন্যা সন্তানের জনক মজাহিদ আলীর সাথে। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। প্রতারক প্রেমিক তার নাম মজাহিদ থাকলেও প্রেমিকের কাছে তার নাম জুবায়ের আহমদ বলে পরিচয় দেয়। সম্পর্কের এক মাসের মাথায় গতকাল (৩ মে) শনিবার বিশ্বনাথ বাসিয়া ব্রিজের উপর থেকে সিএনজি গাড়িতে করে প্রেমিক প্রমিকা দিন ব্যাপী ঘুরা ফেরার পর সন্ধায় প্রেমিকের বাড়ির একটি কক্ষে রাতভর একাধিক বার মিলন করে তারা। পরদিন সকালে অর্থাৎ (৪ মে) প্রমিকাকে তার মিয়াজনের গাও গ্রামে বাড়ি সামনে রেখে চলে আসে প্রেমিক। পরিবার চাপ সৃষ্টি করলে সব ঘটনা খুলে বলেন ওই তরুনী।
এ ঘটনায় ইচ্ছা বিরুদ্ধে একাধিকবার প্রেমিক ধর্ষন করেছে মর্মে থানা ধর্ষন মামালা দায়ের করেন ওই তরুনী। মামলার এজহারে প্রেমিকের নাম লিখেন জুবায়ের। পরে পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে প্রতারকের আমল নাম। এদিকে প্রতারক প্রেমিক প্রথম বিবাহের পর এক কন্যা সন্তানের পিতা ও ঘরে দ্বিতীয় স্ত্রী রয়েছে বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।