বিশ্বনাথে প্রবাসী দম্পতির উপর সন্ত্রাসী হামলা : গাড়ি ভাংচুর : সাবেক স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা

অপরাধ বিশ্বনাথ
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক :: সিলেটের বিশ্বনাথে ডাকাত অপবাদ দিয়ে যুক্তরাজ্য প্রবাসী দম্পত্তির উপর অমানবিক সন্ত্রাসী হামলা করা হয়েছে। হামলায় আহত হয়েছেন স্বামী-স্ত্রী দু’জনই। ভাংচুর করা হয়েছে তাদের প্রাইভেট কার। হামলার শিকার দম্পতিরা উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের সিংরাওলী গ্রামের আরশ আলীর ছেলে আশরাফ আলী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী সাদিয়া আক্তার। তারা দু’জনেরই মাথায় রক্তাক্ত জখম রয়েছে। হামলাকারিরা হচ্ছেন, প্রবাসী আশরাফ আলীর তালাক প্রাপ্ত প্রথম স্ত্রী, শশুর, চাচা শশুর, শ্যালকসহ ছয়-সাতজন সন্ত্রাসী। হামলাকারিরা সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন কুয়ারপাড় ইগুলার রোডের ১৯নং বাসার বাসিন্দা। এ ঘটনায় আশরাফ আলী বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় ১৪৩/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৪১/৩৭৯/৪২৭/৫০৬ ধারা মতে একটি (মামলা নং-০৮/২৫ইং) দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হচ্ছেন, গিয়াস উদ্দিনের পুত্র ফাহাদ হোসেন, গিয়াস উদ্দিন, ইসলাম উদ্দিন, সাবেক স্ত্রী আয়েশা বেগম, শিলা বেগমসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৬/৭জন। ঘটনাটি গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার রামপাশা বাজারে ঘটে।

বাদী তার এজহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৯সালে আসামি গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে আয়েশা বেগমের সাথে আমার বিবাহ হয়। বনিবনা না হওয়ায় দেড় বছরের মাথায় আইন অনুযায়ী তালাক দেই এবং অন্যত্র একটি বিয়েও করি। এরপর থেকে ওই পরিবার আমাকে নানাভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে। আমি গত ফেব্রুয়ারী মাসে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে আসি এবং গত ১১তারিখে আমার সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে নিয়ে সিলেট শহরে যাই। সন্ধা পর বাড়ি ফেরার পথে সিলেট জিন্দাবাজার পাঁচ ভাই রেস্টুরেন্টের সামনে আমার ব্যবহৃত গাড়িতে উঠার সময় বিবাদীগন অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমন করে। আমি ও আমার স্ত্রী রক্তাক্ত জখমি হই। আমাদের আতœচিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে সন্ত্রসীরা পালিয়ে যায় এবং পথচারিরা আমাদেরকে গাড়িতে উঠাইয়া দিলে আমরা আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল দ্রুত ত্যাগ করি। সন্ত্রাসীরা আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাস যোগে আমার পিছু ধাওয়া করে এক পর্যায়ে তারা বিশ্বনাথের রামপাশা বাজারে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে আমার গাড়ির গতিরোধের পর হামলা করে এবং আমার প্রাইভেট কারটি ভাংচুর করে ফেলে। প্রথমে স্থানীয়রা ও পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আমাদেরকে উদ্ধার করে আহত অবস্থা থানায় নিয়ে আসে। এঘটনায় আমি ৫জনের নামে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করি। এদিকে মামলা দায়েরর দুদিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখন কোন আসামি গ্রেফতার করতে পারেনি।

জানতে চাইলে থানার ওসি এনামুল হক চৌধুরী হামলার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আসামিরা সিলেট জেলায় বসবাস করছে। তাই গ্রেফতার করতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *