এএইচএম ফিরোজ আলী-
বিশ্বের বর্তমান সময়ের প্রধান ও অন্যতম সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তন। মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণতায় প্রকৃতি ও পরিবেশ এখন মহাসংকটের মুখোমুখি। জলবায়ূ পরিবর্তণজনিত বিষাক্ত বায়ূমন্ডলের উষ্ণতায় মানবসভ্যতা ধ্বংসের আশংকা করছেন বিজ্ঞানীরা। বিশ্বের ৯৭ভাগ জলবায়ূ বিজ্ঞানী মনে করেন, পরিবেশ দূষনের জন্য মানুষ দায়ী। পৃৃথিবীর ইতিহাসে বিষ্ময়কর প্রতিভাধর পদার্থ বিজ্ঞানী ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিফেন হকিং মৃত্যুর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানে, এক ভাষনে বলেছিলেন, ‘পৃথিবীতে মানব সভ্যতা মাত্র এক হাজার বছর টিকে থাকতে পারে, এনিয়ে দুনিয়া জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছিল। সিএনএন তাঁর এ ভাষন প্রচার করে (দৈনিক ইত্তেফাক ১৯/১১/২০১৬ইং)। হকিং এর মতে, জলবায়ু পরিবর্তন, পরমানু অস্ত্র এবং রোবটের কারনে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বিবিসিকে তিনি বলেছিলেন, কৃত্রিম মেধা যখন সর্বশক্তিমান হয়ে ওঠবে, সেদিন মানবজাতির ধবংস নিশ্চিত।
শিল্পায়ন বিশ্বকে উন্নত-আধুনিক ও সমৃদ্ধশালি করলেও অধিক শিল্পায়ন, নগরায়ন, মাটি, পানি, বায়ু, প্রকৃতির এ তিন সম্পদ দূষন নিয়ে বিজ্ঞানীরা চরম উদ্বিগ্ন। বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধি, রাসায়নিক শিল্প কারখানার কালো ধোঁয়া, ইলেক্ট্রনিক ও পলিথিনের বিষাক্ত বর্জ্য, ভুমিতে ব্যাপকহারে কৃত্রিম সার, কিটনাশক ব্যবহার, বনভূমি উজাড়, পাহাড় ধবংস, কৃষিপ্রধান দেশে ভূমি ব্যাপকহারে চাষাবাদ ইত্যাদি মানুষের আগ্রাসি কর্মকান্ডে প্রাণী ও উদ্ভিদের বিষক্রিয়ার প্রভাবে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
পৃথিবীতে প্রাণী ও উদ্ভিদ বেঁচে থাকার জন্য বায়ূমন্ডলের যে গ্যাসীয় আবরণটি একক গুরুত্বপূর্ণ তা হলো ওজোন স্তর। এ ওজোন স্তরের জন্য সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি ভুপৃষ্টে আসতে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে বায়ূমন্ডলের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকায় পৃথিবীতে জীবের জন্ম ও বসবাসের একটা আদর্শ অবস্থা বজায় থাকে। কিন্তু প্রযুক্তির এ দুনিয়ায় রাসায়নিক নানা কর্মকান্ড, পারমানবিক মরনাস্ত্রের বিস্ফোরনে পরিবেশ রক্ষাকারি ওজোন স্তরের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ওজোন স্তরের ক্ষয় সাধন এবং সূর্যের অতিমাত্রার বেগুনি রশ্মি পৃথিবীতে আগমনে প্রাণীকূল বিলুপ্ত হওয়ার অন্যতম কারন। ভুপৃষ্ট থেকে বায়ুমন্ডল ১০হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হলেও ৩হাজার কিলোমিটারের মধ্যে জলীয়বাষ্প, ধুলিকনা, নাট্রোজেন ও অক্সিজেন গ্যাসের অবস্থান। পৃথিবীর অভ্যন্তরে ভুপৃষ্টের সাথে লেগে থাকা বায়ূমন্ডলের প্রথমস্তর ট্রপোমন্ডল। এখানেই রোদ-বৃষ্টি, বায়ূপ্রবাহ, বজ্রপাত, ঝড়-তুফান, জলোচ্ছাস, তুষারপাত ও কোয়াশার সৃষ্টি হয়। ভুপৃষ্ট থেকে উপরের দিকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বায়ূর ঘনত্ব কমে যাওয়ায় উষ্ণতাও কমে হয়। ১হাজার মিটার উচ্চতায় ৬ডিগ্রি সিলসিয়াস তাপমাত্রা হৃাস পায়।
তাপ ও আলোশক্তির প্রধান উৎস সূর্য। সূর্য একটি নক্ষত্র। সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহের নাম পৃথিবী। পৃথিবীর বয়স ৪.৫০বিলিয়ন বছরের উপরে। পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয়, ১৫০মিলিয়ন বছর আগে। ২৫লক্ষ বছর পরপর পৃথিবীর ভূপৃষ্টের পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর কেন্দ্রের তাপমাত্র প্রায় ৭হাজার ৫৫০ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সূর্যের ভুপৃষ্টের তাপমাত্রার চেয়ে উত্তপ্ত। সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যে দুরত্ব প্রায় ১৫কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীতে আলো আসে মাত্র ৮মিনিট ১৫সেকেন্ডে। সূর্য ছাড়া পৃথিবী চির অন্ধকার। পৃথিবী সৃষ্টির সময় উত্তপ্ত এক গ্যাসপিন্ড ছিল। এ গ্যাসপিন্ড ক্রমেই শীতল ঘনিভূত হয়ে অশ্বমন্ডল, গুরুমন্ডল ও কেন্দ্র মন্ডল-ভুগর্ভে এ তিনস্তরের সৃষ্টি হয়। বায়ূমন্ডলে অতিরিক্ত কার্বনড্রাই অক্সাইড নির্গমনের ফলে প্রতি বছর গড়ে ০.৭৪ভাগ তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমান শতাব্দিতে তাপমাত্রা ১.৮ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড থেকে সর্বোচ্চ ৪ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড হতে পারে। তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে মনে হচ্ছে, পৃথিবী তার মূলের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এসব সকল তথ্য বিজ্ঞানীদের।
১৯৭৪সালে বিজ্ঞানীরা প্রথম প্রমান পেয়েছেন, মানব সৃষ্ট কিছু গ্যাসের জন্য ওজোন স্তরের ক্ষতি হচ্ছে। ১৯৮৫সালে একদল বৃট্রিশ বিজ্ঞানি এ তথ্য প্রকাশ করায় বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। বৃট্রিশ বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ঘঅঞটজঊ এর এক প্রতিবেদনে বলা হয় ১৯৭৭-১৯৮৪এ ৮বছর সময়ে, ১৯৬০দশকের তুলনায় ওজোন স্তর ৪০ভাগ কমে যায় এবং ওজোন স্তরের উপর বড় ধরনের একটি ছিদ্র ধরা পড়ে। ঘঅঝঅ ১৯৭৯সালে জানায় কুমেরুর ওজোন স্তর ৯৫ভাগ লুপ্ত হয়, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত মানব সৃষ্ট সিএফসি গ্যাসের (ক্লোরো-ফ্লোরো কার্বন) জন্যই ওজোন স্তরের ক্ষয় হচ্ছে। ওজোন স্তর ক্ষয়ের কারনে যদি অতিবেগুনি সূর্যরশ্মি ভুপৃষ্টে আসে, তবে মানুষের শরীর ঝলসে যাবে এবং অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদকূলের স্বাভাবিকভাবে টিকে থাকা সম্ভব হবেনা। ওজোন স্তর ১ভাগ কমলে, পৃথিবীতে অতিবেগুনি রশ্মি বেড়ে যায় ২ভাগ। ১০ভাগ বৃদ্ধি পেলে গাছ-পালা সালেক সংশ্লেষন চালাতে পারবে না।
জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত দূর্যোগে বিশ্বের ১০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের নাম বাংলাদেশ। উষ্ণতার কারনে দেশের সকল অর্জন ¤øান হচ্ছে। সময়ে-অসময়ে অনিয়মিতভাবে এদেশে ঝড়-তুফান, বৃষ্টি, বজ্যপাত, বন্যা-খরা, ঘুর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি, জোয়ারভাটা, লবনাক্ত পানিসহ সকল দূর্যোগের আক্রমনে বাংলাদেশ। এর মধ্যে দেশটির ভৌগুলিক অবস্থানও দায়ি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ূ সক্রান্ত গবেষক প্রফেসর নরম্যান মাইরিস তাঁর এক গবেষনায় বলেছেন, ২০২৪সালের মধ্যে বিশ্বে ২০০মিলিয়ন লোক ক্ষতিগ্রস্থ হলে ৩০মিলিয়ন হবে বাংলাদেশের। তাঁর মতে, গত ২০বছরে সমুদ্রের উচ্চতা বেড়েছে ৫মিটার এবং ভবিষ্যতে আরো ১মিটার বাড়লে এদেশের প্রায় ২৮ভাগ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। লবনাক্ত পানির কারনে দেশের ৪০ভাগ ভূমিতে খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। আইপিসিসি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, ২০৫০সালের মধ্যে শুধু ধান উৎপাদ ৮ভাগ এবং মোট খাদ্য উৎপাদ ৩৫ভাগ কমে যাবে। ১৯৯১-২০০০সাল সময়ে ৯৩টি বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বাংলাদেশে ২০লাখ লোকের মৃত্যু হয় এবং কৃষি ও অবকাটামোগত খ্যাতে ৫.৯বিলিয়ন ডলারের ক্ষতিহয়। গত ২০বছরে ১লাখ হেক্টর জমি নদীগর্ভে বিলিন হওয়ায় ২লাখ কোটি টাকার ক্ষতি এবং নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে ১লাখ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। নাসার গবেষনা বলছে, (১৯৬৭-২০১৭) সময়ে নদী ভাঙ্গনে ৬৬০বর্গকিলোমিটারে ৬৬হাজার হেক্টর জমি ঢাকা শহরের সমান বিলিন হয়ে ৩০লাখ লোক নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। এখন ৭কোটি ৩০লাখ লোক জলবায়ূ জনিত খরা অঞ্চলে বসবাস করছেন। দেশের ৩০ভাগ প্রাণীর মধ্যে ১১৯জাতের স্তন্যপায়ী, ৫৭৮জাতের পাখি, ১২৪জাতের সরিসৃপ, ২৩জাতের বন্য প্রাণী ও সুন্দর বনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিলুপ্তির পথে। বিষাক্ত পরিবেশে ক্ষুদ্র প্রাণী পোকামাকড় ফরিংসহ অনেক প্রাণী বিলুপ্ত হয়েছে।
মানবসভ্যতা টিকে থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হচ্ছে, পরিবেশ। বর্তমান সময়ে পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত দেশগুলো পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ও সচেতন হলেও আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই। অনেক দেশের লোকজন এমনকি ছোট শিশুরাও পরিবেশ রক্ষায় অগ্রনী ভূমিকা পালন করছে। চীন, জাপান, সৌদিআরবসহ অনেক দেশের শিশুরা রাস্তায় একটি কাগজের টুকরা ফেলে কুড়িয়ে নিয়ে ডাস্টবিনে রাখে। নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া অনেক দেশে আবর্জনা ফেলা নিষিদ্ধ। কিন্তু আমাদের দেশের অধিকাংশ শিক্ষিত লোকেরাও পরিবেশ রক্ষায় খুবই অসচেতন। যেখানে খায় সেখানে আবর্জনার স্তুপ ফেলে রাখে। অশিক্ষিত লোকের কথা বলাই বাহুল্য। আমরা যেখানে-সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে প্রতিনিয়ত পরিবেশ দুষন করছি। জেনে শোনে সবধরনের ময়লা-আবর্জনা যত্র-ছত্র ফেলে দেই। নদী যেন আমাদের কাছে ডাস্টবিন। পুকুর-খাল-বিল-হাওর নদী দখল করে পানির সকল উৎস ধবংস করছি। গাছ-বাঁশ কেটে বনভূমি উজাড় করায় বায়ূমন্ডলে বিষাক্ত গ্যাস সৃষ্টি হচ্ছে। গত এক দশক ধরে সারা দেশে এসির ব্যবহার দৃদ্ধি পাওয়ায় উষ্ণতা অনেকগুণ বাড়ছে। যেকারনে অন্য দেশের তুলনায় এখানে উষ্ণতা বেশি। গত আগষ্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে প্রচন্ড তাপদাহে স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা ছিল অচল। কৃষকরা কৃষিজমিতে কাজ করতে পারেনি। এতে অনেক জমি অনাবাদি থাকায় খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। গ্রামে-গঞ্জে গরমে অনেক খামারে হাঁস-মোরগ, পশু-পাখি মারা গেছে।
বায়ূমন্ডলের ভয়ঙ্কর রূপ হচ্ছে গরম। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, ১৮৮০সালের পর ২০১৬সাল ছিল অতি উষ্ণ এবং ২০২৩-২৪সালেও প্রচন্ড গরম ছিল। ১৯৭২সালে রাজশাহীতে তাপমাত্রা ছিল ৪৫.১ডিগ্রি সেলসিয়াস, ১৯৪৪,১৯৪৫ ও ২০০৯সালে সারা দেশে ছিল, ৪২.২০ডিগ্রি সিলসিয়াস। ১৯৭৫-২০২৪সাল এ পঞ্চাশ বছরে তাপমাত্রা বেড়েছে ০.৫০ভাগ এবং ২০৫০সালে ১.৪ এবং ২০১০০সালে হবে ২.৪০ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি বছর আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে গরম বৃদ্ধির সাথে সাথে এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি, চর্মরোগ শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডেঙ্গুজ্বর, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ক্যান্সার ত্বক ক্যান্সার ও কিডনিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে মা ও শিশু স্বাস্থের চরম অবনতি ঘটছে। ঘুর্ণিঝড়, খরা, নদী ভাঙ্গনের কবলে ১কোটি ২০লাখ শিশু ঝুকিতে রয়েছে। প্রতি ৪জনের মধ্যে ৩জন হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। ঘরে ঘরে উচ্চ রক্তচাপে রোগী রয়েছেন। স্ট্রোক, কিডনি সমস্যায় ভূগছেন হাজার হাজার মানুষ। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দূর্যোগে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে মানসিক বিষন্নতায় ভূগছেন দেশে ৭০লাখ মানুষ। সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকসহ সেবা কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঠাই হচ্ছেনা। প্রতিদিন গ্রাম শহরে হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, ব্রেইনষ্টোকে মানুষ মুত্যুর সংবাদ প্রতিনিয়ত মাইকে প্রচারিত হচ্চে। রোগ ব্যাধী দিনদিন বাড়তে থাকায় এক সময় মহামারি আকার ধারন করতে পারে।
যে এলাকায় গাছ-পালা, বাঁশ-বেত, বন-জঙ্গল এবং জলাশয় থাকে সেখানে গরমের তীব্রতা থাকলেও বায়ু কিছুটা শীতল থাকে। যেকোন দেশের মোট আয়তনের ২৫শতাংশ ভুমি থাকার কথা। কিন্তু আমাদের দেশে ১২শতাংশের অধিক নয়। গ্রাম শহরের সকল জলাশয় ভরাট হওয়ায় সূর্যের প্রথম আলোতেই ভুপৃষ্ট গরম হয়ে উঠে। দালান-টিনের ঘর পাকা সড়কেও বায়ু উত্তপ্ত হয়। এমন পরিস্থিতিতে এ দেশের অস্থিত্ব রক্ষায় এসি ব্যবহার রোধ, বনাঞ্চল সংরক্ষণ, বেশি করে গাছ লাগানো, গাছ কর্তন বন্ধ, সকল জলাশয় খনন, সব ধরনের বর্জ্য নির্দিষ্ট গর্তে ফেলতে হবে। নতুন প্রজন্ম ও সকল শ্রেণী পেশার মানুষকে জলবায়ূর ক্ষতিকর বিষয়ে অবহিত করে পরিবেশ রক্ষায় তাদের উৎসাহি করা এবং গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে না পারলে আরো চরম উষ্ণতার দিকে এগিয়ে যাবে দেশ।
এএইচএম ফিরোজ আলী
লেখক, কলামিষ্ট ও সমাজ বিশ্লেষক