সিলেটে বাড়ছে নদ-নদীর পানি, বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে কুশিয়ারা

সিলেট
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক ::  সিলেটে বুধবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টায় ১৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দুপুর ১২টার পর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও কমে এসেছে। তবে বাড়ছে সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি। এর মধ্যে কুশিয়ারা নদীর দুটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সূর্যের দেখা পাওয়া যায়নি।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সিলেটসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপসহকারী আবহাওয়াবিদ অমর চন্দ্র তালুকদার বলেন, মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৩৬ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগের ২৪ ঘণ্টা অর্থাৎ সোমবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সিলেটে ২০৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে এসেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টায় ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হলে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়। আবার ২৪ ঘণ্টায় ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে ভারী বৃষ্টিপাত ধরা হয়।

বৃষ্টিপাত কমে এলেও সিলেটের বিভিন্ন পয়েন্টের নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মধ্যে সিলেটের কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ও শেওলা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। তবে অন্য কোনো নদ-নদীর পয়েন্টে বুধবার বেলা তিনটা পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রম না করলেও বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। নদীর ওই পয়েন্টে বুধবার বেলা ৩টায় বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। নদীর ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ৯ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার।

কুশিয়ারা নদীর শেওলা পয়েন্টে বেলা তিনটায় পানি বিপৎসীমার তিন সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদীর ওই পয়েন্টে পানির বিপৎসীমা ৮ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এ ছাড়া বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, সুরমা নদীর সিলেট ও কানাইঘাট পয়েন্ট।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ  বলেন, সিলেটে বৃষ্টিপাত কমে এলেও বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সিলেটের বৃষ্টিপাতের ওপর এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি নির্ভর করে না। মূলত ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় পাহাড়ি ঢলের ফলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, চলতি সময়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হলেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। সুত্র-সিলেট টু ডে


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *