নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সময় জানালেন সিইসি

জাতীয় সারাদেশ
শেয়ার করুন

অনলাইন ডেস্ক :: ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের যে সময়েই নির্বাচন হোক না কেন প্রস্তুত রয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা তৈরি থাকতে হবে। যেদিন ইলেকশন ডেট হয় তার মাস দুয়েক আগে তফসিল হয়। মানে ৫০-৬০ দিন আগে হবে। তবে ভোটের আট-দশ মাস আগে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ এ মুহূর্তে ঘোষণা সম্ভব নয়। ছয় মাস-আট মাস আগে ওই তারিখে নির্বাচন হবে—এটা বলার বিধান আরপিও তে নেই। তফসিল ঘোষণার বিধান বলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

তিনি বলেন, ভোটের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ধারণা পাওয়ার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে ইসি। তবে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত প্রায়। ভোটার তালিকা আইনে সংশোধন করা হবে। দল নিবন্ধন ও সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের মতো বড় কাজ রয়েছে।

রোববার (১৫ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, এতদিন তো সরকারই আলোচনা করেছে, আমরা করিনি। উনাদের পজিশনটা আমাদের বুঝতে হবে। বোঝার পরে যেদিন তারিখ ঠিক হবে, অ্যারাউন্ড দুই মাস আগে তফসিল ঘোষণা হবে। ঐতিহাসিকভাবে তা-ই, ৫৫ থেকে ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা করবো।

ফেব্রুয়ারির ভোটের বিষয়ে অফিসিয়ালি কোনো কিছু না পাওয়ায় মন্তব্য করতে  রাজি না হয়ে এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে হোক- জাতীয় নির্বাচন যখনই হোক, আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। আগে আমাদের বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে জুন, আমরা সে টাইম স্পেন মাথায় রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছি ও এগিয়ে যাচ্ছি। এখন আমাদের ধ্যানধারণা শয়নে-স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।

আমরা এখনো প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না দাবি করে সিইসি বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে, অমুক দিন অমুক তারিখ ইলেকশন হবে এ মুহূর্তে আমি এমন ঘোষণা দিতে পারবো না। সরকারের কাছ থেকে যদি ধারণা পাই তাহলে সে অনুযায়ী ইলেকশন ডেলিভার করার জন্য প্রস্তুত আছি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছি।

সিইসি বলেন, লন্ডনে যে ঘোষণাটা এসেছে অন্যদের মতো মিডিয়া থেকে যেটুকু জেনেছি, এর বাইরে কিছু নেই। এ নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারবো না। ভেতরে কি আলাপ হয়েছে। ইতিহাসের পেছনেও ইতিহাস থাকে, আলাপের পেছনেও আলাপ থাকে। আমাদের ধারণা, সরকারের পক্ষ থেকে একটা তারিখ ঘোষণা হবে। কিন্তু লন্ডন সফরের পরে দায়-দায়িত্ব কিছুটা আমাদের ওপরই আসছে। সরকারের সঙ্গে আমাদের একটু কথাবার্তা না হলে, কোনো নির্দেশনা দেওয়া সম্ভব নয়।

ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কয়েকটি দল। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সিইসি বলেন, সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। আল্লাহর কাছে দোয়া, আল্লাহ তাদের আস্থায় নিয়ে আসুক। আমার বিশ্বাস, আমাদের দলগুলো দেশের মঙ্গল চায়। রাজনৈতিকভাবে অনেক কথা বলতে হয়, আমি এটাকে রাজনৈতিকভাবে দেখি। রাজনৈতিক সচেতন থাকবেন, দলীয় রাজনীতিতে জড়াবেন না- এমন নির্দেশনা কর্মকর্তাদের দিয়েছি।

আমরা কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায়, কারো পরিচালনায় আমরা কাজ করি না। কারো দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দলীয় স্বার্থরক্ষার জন্যে কাজ না করার জন্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আইন অনুযায়ী কাজ করার জন্য বলা হয়েছে। কেউ যদি মনে করে কেন্দ্র দখল, বাক্স লুট করবে তা দিবাস্বপ্ন। সবাই সুন্দর নির্বাচন চায়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *