ডাক ডেস্ক : গাজীপুরের শ্রীপুরে সাত দিনের মেয়েশিশু রেখে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। একটি বেসরকারি ক্লিনিকে ডেঙ্গু শনাক্ত হওয়ার পর ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নেওয়ার পর আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
নিহত গৃহবধূ সোমা আক্তার (২৬) শ্রীপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বহেরারচালা গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী।
নিহতের চাচা শ্বশুর রাশেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মাওনা ল্যাবএইড হাসপাতালে ওই গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে নবজাতক মেয়েশিশুর জন্ম হয়। এর দুই দিন পর তিনি সুস্থ হলে হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে রিলিজ করে বাড়িতে পাঠান।
বাড়িতে আসার এক দিন পর থেকে সোমা আক্তার জ্বরে আক্রান্ত হন। শরীরে বেশি জ্বর অনুভব হলে মাওনা ল্যাবএইড হাসপাতালে ডেঙ্গু পরীক্ষা পর আজ বুধবার সকালে তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরে এখানকার চিকিৎসকের পরামর্শে তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
ভর্তি করানোর পরপরই হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। চিকিৎসা চলাকালে বেলা আড়াইটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
রাশেদুল ইসলাম আরও বলেন, ওই গৃহবধূর সাত দিনের শিশু বর্তমানে সুস্থ রয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহবধূর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
এ বিষয়ে মাওনা ল্যাবএইড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন, ‘গত বুধবার ওই গৃহবধূর সিজারিয়ান অপারেশন হয়। এরপর মা ও নবজাতককে সুস্থ অবস্থায় হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেওয়া হয়। আজ সকালে গৃহবধূর স্বজনেরা তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি জানান। এরপর হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য বলি।’
হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই সব পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর তাঁর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। পরবর্তীকালে হাসপাতালে চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ কমিউনিটি বেজড হাসপাতালে নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।
শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিষয়টি শুনেছি। তবে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এখন পর্যন্ত কোনো রোগী মারা যায়নি।’