নিজস্ব প্রতিবেদক : সিলেটের বিশ্বনাথ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফজর আলীর বিরুদ্ধে আদালতে ৩কোটি টাকা আত্মসাতের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ২৭ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী ৩নং আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছেন বিশ্বনাথের শাহজিরগাঁও গ্রামের আমরোজ আলীর স্ত্রী যুক্তরাজ্য প্রবাসী আফতেরা বিবি। (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-৩২৮/২০২৩ইং)।
মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে কাউন্সিলর ফজর আলীর শ্যালক ছাতক উপজেলার বুরাইয়া বুরকি হাটি গ্রামের তফজ্জুল হোসেনের ছেলে মাছুম আহমদকে (৩৮)। দ্বিতীয় আসামি করা হয়েছে কাউন্সিলর ফজর আলীকে। তিনি পৌরসভার মোল্লার গাঁও গ্রামের ময়না মিয়ার পুত্র। মামলার বাদি ওই মহিলা ফজর আলীর খালা শ্বাশুড়ি আর মাছুম আহমদের খালা হন।
মামলার এজাহারে সুত্রে জানা গেছে, মাছুম আহমদ ও ফজর আলীর যোগসাজসে তার নিকট থেকে ২টি প্লট ও ১টি তিন তলা দালান ক্রয় করার জন্য ৩কোটি টাকা দেয়া হয়। কিন্তু বাদীর নামে জায়গা ক্রয় না করে বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রারের স্বাক্ষর জাল করে অবিকল সাফ কাবালা তিনটি দলিল সম্পাদনের রশিদ তাকে প্রদান করেন।
বাদিনী চলতি বছরে ৩০ জুন দেশে এসে আসামিদেরকে তার প্লট ও ৩তলা বিশিষ্ট বিল্ডিং সমজিয়ে দেয়ার কথা বললে আসামিরা দিমু দিচ্ছি বলে সময় ক্ষেপন করতে থাকে। আসামি মাছুম এক পর্যায়ে বাদিনীকে ভুয়া কাগজপত্র দেয়। সেই কাগজ পত্রের সত্যতা খুজতে বাদিনী বিশ্বনাথ সাবরেজিষ্ট্রি অফিসে যান। কিন্তু তল্লাশী দিয়ে দলিলের রশিদের কোন অস্থিত্ব খুজে না পেয়ে বাদিনী গত ১৬ জুলাই মাননীয় অতিরিক্ত জেলা হাকিম আদালত, ফৌঃ কাঃ বিঃ আইনের ৯৮ ধারায় বিশ্বনাথ বিবিধ মামলা নং-৬৩/২০২৩ইং, দায়ের করলে, মামলাটি বিশ্বনাথ থানায় উল্লেখিত দলিল উদ্ধারের জন্য প্রেরণ করা হয়।
গত ১০ আগষ্ট তদন্তকারি কর্মকর্তা গাজী মোয়াজ্জেম হোসেন আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। রিপোর্টে তিনি উল্লেখ করেছেন, ১নং আসামী মাছুম আহমদের নিকট কোন দলিল পাওয়া যায় নাই।
অবশেষে গত ২৭ আগস্ট সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী ৩নং আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেছেন বাদিনী আফতেরা বিবি। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বিশ্বনাথ থানার ওসিকে নির্দেশ দেন আদালত।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি জাহিদুর রহমান বলেন, কাউন্সিলর ফজর আলী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। তদন্ত করছে, তদন্ত শেষে প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হবে।
কাউন্সিলর ফজর আলীর বক্তব্য, আমার শ্যালক মাছুম আহমদ বাদিনীর কাছে ২০লাখ টাকা পায়। সে আদালতে মামলা করেছে। এ বিষয়ে আমি মিমাংসা করার চেষ্টা করেছি। তিনি রায় রা পেয়ে আমাকে আসামি করে মামলা দিয়েছেন।