৩৪দিনেও সুমেলের খুনি গ্রেফতার হয়নিঃ এসআই নুর হোসেন পুলিশ লাইনে

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাফ রির্পোটার: বিশ্বনাথের বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার আসামী সাইফুল ও তার বাহিনী দীর্ঘ ৩৪দিনেও গ্রেফতার হয়নি। গত ১লা মে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাইফুল ও তার অস্ত্রবাজ বাহিনী স্কুল ছাত্র সুমেল ও তার বাবা, চাচাকে হত্যার জন্য বন্দুক ও পিস্তল দিয়ে গুলি করে। এতে সুমেল ও তার বাবা আব্দুল মানিকসহ ৪জন গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেয়ার পথে সুমেল মারা যায়। এই হত্যাকান্ডের পর শুধু দেশে নয়, সুদূর ইউরোপ আমেরিকায়ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে। থানা পুলিশের সহয়তায় এই হত্যাকান্ড হয়েছে বলে গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। শুধু তাই নয় থানার ওসি ও দারগার সহযোগিতায় মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত, আহত ও নিহতদের রক্ত মুছে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। চাউলধনী হাওরের হত্যাকান্ড সহ কৃষকদের হয়রানি, সাজানো মামলা ও পুলিশের দায়িত্ব কর্তব্যের অবহেলার বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্তে বেরিয়ে আসে। থানার সাবেক ওসি শামীম মুসা ও এসআই ফজলুকে থানা থেকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ঘটনা প্রমানিত হলে কঠোর শাস্তিও হতে পারে। গত ২জুন বিশ্বনাথ থানার এসআই নুর হোসেন কে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।
বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান জানিয়েছেন, নিয়মিত বদলির অংশ হিসেবে নূর হোসেনকে বদলি করা হয়েছে। অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রশাসনিক কারনে নুর হোসেনকে পুলিশ লাইনে বদলি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষ পুলিশ সহ সকল আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি সন্তেুাষ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, আমাদের জানা মতে খুনি সাইফুল ও তার বাহীনিকে গ্রেফতারে হণ্য হয়ে খুঁজা হচ্ছে। আমরাও পুলিশকে সহযোগিতা করছি। কিন্তু সাইফুলও তার ঘনিষ্ট সহযোগিদের সাথে মোবাইলের ইমো ও হোয়াটসআপে যোগাযোগ করায় তাকে গ্রেফতার করা যাচেছ না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যাকান্ডের আগে ও পরে তাকে যারা সহায়তা করেছে এবং পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করছে তাদের ১/২জনকে গ্রেফতার করলে সাইফুলের সন্ধান পাওয়া যাবে। সুমেল হত্যাকান্ডের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৮জন জেলে রয়েছে। তাদেরকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য সাইফুল খুব বেশি টাকা পয়সা খরচ করছে। এমনকি সে নিজেও কৌশলে আগাম জামিনের চেষ্টা তদবির করছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। সূত্রে মতে, চাউলধনী হাওরে ও হত্যাকান্ডে সাইফুল বাহিনী যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে, সেই অস্ত্র টেরা পারভেজ এর কাছে আছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
সুমেল হত্যা মামলার বাদী ইব্ররাহিম আলী সিজিল জানান, গত ২ জুন ৮জন আসামীর জামিন চাওয়া হয়েছে আদালতে। জামিনের টাকাও সাইফুল দিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। আমরা যেকোন মূলে খুনি সাইফুল, অস্ত্রবাজ শাহিন, বশর সহ আসামীদের গ্রেফতার দাবী করছি।
সুমেল হত্যাকান্ডের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ বা আলামত নষ্ট করার বিষয়ে একজন সিনিয়র আইনজীবি জানান, ৩০২ ধারার সাথে আলামত নষ্টের ২০১ধারা সংযুক্ত থাকে। স্বাক্ষ্যপ্রমাণে আলামত নষ্ট প্রমানিত হলে, কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। তিনি আরও জানান, সুমেল হত্যাকান্ডের খুনিকে যারা পালিয়ে যেতে সহায়তা করেছেন এবং রক্ষা করার চেষ্টা করছেন ৩০২ ধারার সাথে ১০৯ধারার বিচার হবে। সহায়তার ঘটনা প্রমাণিত হলে খুনের মতো সাজা হতে পারে।
কিন্তু এর মধ্যে তদন্তকারী সংস্থা যত দ্রুত আসামী গ্রেফতার করে চার্জশীট দাখিল না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত এলাকার মানুষের অসন্তোষ ও ক্ষোভ থামবে না।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *