হবিগঞ্জে খোলা আকাশের নিচে শতাধিক পরিবার

Uncategorized
শেয়ার করুন

প্রায় শতাধিক পরিবার খোল আকাশের নিজে বসবাস করছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে তাদের। কেউ বা আবার অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।

জানা যায়, গত বুধবার (৮ মে) রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলার আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং ও নবীগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে কালবৈশাখি ঝড় বয়ে যায়। প্রায় ৩০ মিনিটের ঝড়ে ৮ থেকে ১০টি গ্রামের ব্যপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। তবে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়ন ও বানিয়াচং উপজেলা কাগাপাশা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম। ওই দুটি ইউনিয়নের প্রায় ৪টি গ্রাম সম্পূর্ণ লন্ডভন্ড করে দেয় ঝড়টি। এতে ভেঙে পড়ে দুই উপজেলার প্রায় শতাধিক কাচাঁ ঘর-বাড়ি। বর্তমানে খোলা আকাশের নিজে দু’দিন ধরে বসবাস করছেন ওই পরিবারগুলো। কেউবা আবার আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশিদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।

শুধু ঘর-বাড়ি নয়, ঝড়ে নষ্ট হয়েছে অনেক সবজি ক্ষেত ও পাঁকা ধান। বিনষ্ট হয়েছে অনেক ফলজ ও বনজ গাছ-পালা। হেলে পড়েছে বৈদ্যুতিক খুটি। ফলে ওই এলকাগুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে দু’দিন ধরে।

বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ আহমদ আলী বলেন- ‘ঝড়ে আমার সব কিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে। পরিবারের সবাইকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। টাকা পয়সার অভাবে ঘর তুলতে পারছি না।’

আজমিরীগঞ্জ উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের পিটুয়াকান্দি গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ দরিদ্র দিদার মিয়া বলেন- ‘ঝড়ে ঘর-বাড়ি ভেঙে দিয়ে গেছে। এখন সবাই খোলা আকাশের নিচে দিন রাত কাটছে।’

এদিকে, ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এ সময় তাঁরা ঝড়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবারগুলোকে সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা ইউপি চেয়ারম্যান মো. এরশাদ আলী বলেন- ‘ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শ করে এসেছি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরী করা হয়েছে। তাদেরকে টিন, নগদ টাকাসহ অন্যন্য জিনিস দেয়া হবে।’

আজমিরীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান বলেন- ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কাছে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা রয়েছে। তাদেরকে বিভিন্ন ঘর নির্মাণের জন্য বিভিন্ন উপকরণ ও খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *