অনলাইন ডেস্ক :: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সমসাময়িক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান ও নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
শনিবার (২৪ মে) রাতে এই সাক্ষাৎ হয়। এর আগে, জামায়াতের শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জামায়াত নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে মঙ্গলবার (২৭ মে) জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের চ্যানেল গণমাধ্যমকে বলেন, এটা কোনো বৈঠক নয়, সৌজন্য সাক্ষাত।
জানা গেছে, যমুনা থেকে বের হয়ে সেনানিবাসে গিয়ে সেনাপ্রধানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ডা. শফিকুর রহমান ও আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। জামায়াত নেতাদের আগ্রহেই এই সাক্ষাৎ হয়েছে।
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, আসলে এটা তো সৌজন্য সাক্ষাৎ ছিল। আর সামগ্রিকভাবে বর্তমান পরিস্থিতির ব্যাপারে কিছুটা কথাবার্তা বলেছি। এই তো।
কী কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সেনাপ্রধান বা সেনাবাহিনীর কারও সঙ্গে আমাদের ফর্মালি (আনুষ্ঠানিক) কোনো বিষয়ে আলোচনা হয়নি।
রাজনৈতিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তাহের বলেন, যতটুকু বলেছি তা-ই, এর বেশি কিছু বলতে পারব না।
প্রসঙ্গত, সবশেষ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এর আগে, গত সপ্তাহে সেনা কর্মকর্তাদের এক সভায় ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হওয়া উচিত বলে অভিমত জানান সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। এরপর আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করতে পারেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। যদি ঠিকভাবে কাজ করতে না পারেন, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার পদে থেকে কী লাভ, সে কথাও বলেন তিনি। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এসে জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার (২৪ মে) বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরের দিন আরও বেশ কয়েকটি ইসলামী দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।