অনলাইন ডেস্ক :: নরসিংদী থেকে স্ব-পরিবারে সিলেটের সাদাপাথর দেখতে এসেছিলেন দেলোয়ার হোসেন (২৮)। স্ত্রী স্মৃতি আক্তার (২৫), ছেলে আব্দুল্লাহ (৭) ও বন্ধু মনিরুজ্জামানের পরিবার সহ রবিবার সকালে সাদাপাথর আসেন। সাদাপাথর দেখে আর বাড়ি ফেরা হয়নি স্মৃতি আক্তার ও ছেলে আব্দুল্লাহ’র। ঘাতক ট্রাক কেঁড়ে নেয় মা ছেলের প্রাণ। আহত হোন সিএনজি অটোরিকশার ড্রাইভার, দেলোয়ার হোসেন, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান, মনিরুজ্জামানের স্ত্রী ও ২ সন্তান সহ ৬জন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, নরসিংদীর সদর থানার কামারগাঁও থেকে সিলেটে স্ত্রী সন্তান ও বন্ধু মনিরুজ্জামানের পরিবারকে নিয়ে ঘুরতে আসেন দেলোয়ার। রবিবার সকালে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে সিলেট থেকে সাদাপাথর দেখতে আসেন তারা ৭ জন। সাদাপাথর দেখে বিকেলে সিলেট ফেরার পথে সিলেট-ভোলাগঞ্জ মহাসড়কের খাগাইল পাম্পের সামনে গেলে তাদেরকে বহন কারি সিএনজির সাথে কোম্পানীগঞ্জগামী ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় স্মৃতি আক্তার ও তার ছেলে আব্দুল্লাহ। এ সময় আহত হোন দেলোয়ার হোসেন, মনিরুজ্জামান, তার স্ত্রী ২ সন্তান ও সিএনজির ড্রাইভার সহ ৬জন। তাৎক্ষণিকভাবে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হোন কোম্পানীগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আসাদুল ইসলাম ও এসআই শফিউল ইসলাম। তারা লাশ উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহত দেলোয়ার হোসেনের মাথার সামনের দিকে আঘাত লাগে। আঘাত গুরুতর না হওয়ায় তাকে কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সিএনজির ড্রাইভার ও মনিরুজ্জামানের পরিবারকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানা, সিলেট থেকে খালি ট্রাকটি বেপরোয়া গতিতে কোম্পানীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। বেপরোয়া গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ট্রাকের চালক। ট্রাক ও সিএনজির দ্রুত গতির কারণে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গোলাম দস্তগীর আহমদ জানান, লাশ ২টি উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহতদের কোম্পানীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ট্রাক ও সিএনজি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।