অনলাইন ডেস্ক :: সিলেটে বাবার সঙ্গে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ স্কুলছাত্রী মাহি আক্তারের ভাইয়ের কাছ থেকে পুলিশ পরিচয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। এ ঘটনায় কোতোয়ালী মডেলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার।
মাহি আক্তার মহানগরীর মির্জাজাঙ্গল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। সে মহানগরীর শেখঘাট এলাকার নাজিম উদ্দিনের মেয়ে। গত ১৯ আগস্ট সকালে বাবাকে নিয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টম্বর) সকালে শিক্ষার্থী মাহিয়ার বড়ভাই রাজিব আহমদকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানার এসআই মাসুদ পরিচয় দিয়ে বলে, আপনার বোনকে পাওয়া গেছে। আপনারা দ্রুত চলে আসুন। তার কথা শুনে পরিবারের লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশে রওনাও দেন। একটু পরে আবার ফোন দিয়ে বলে তার (মাহি আক্তার) অবস্থা ভালো নয়। রক্ত ও চিকিৎসা লাগবে। এজন্য এখনই কিছু টাকার প্রয়োজন। সব মিলিয়ে ৮ হাজার ৩০০ টাকা দিতে বলেন ঐ ব্যক্তি। পরে নিখোঁজ ছাত্রীর ভাই রাজিব মোট ৯ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠান। কিন্তু এরপর থেকেই যোগাযোগের নাম্বারটি বন্ধ পান রাজিব।
এ ব্যাপারে রাজিব আহমদ জানান, পুলিশ পরিচয় দিয়ে আমার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মুলত আমার আবেগকে কাজে লাগিয়ে চক্রটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেছি। ইতোমধ্যে র্যাব-৯, পিবিআই ও পুলিশ খুবই আন্তরিক হয়ে কাজ করছে। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সিলেট কোতোয়ালী মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নুনু মিয়া বলেন, থানা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। টাকা দেওয়ার আগে তারা আমাদের জানানো উচিত ছিলো। তাহলে এই প্রতারণা হতো না।
এরআগে সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) নিখোঁজ ছাত্রীর বড়ভাই রাজিব আহমদ জানিয়েছেন, বাবাকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলো সে। পরে তাকে হাসপাতালের নিচতলা রেখে দুইতলায় গিয়েছিলেন বাবা। পরে তিনি ফিরে আর তাকে (মাহি আক্তার) পাওয়া যায়নি। আমরা সব জায়গায় খোঁজ নিয়েছি। কিন্তু পাইনি। থানায় একটি সাধারণ ডায়েরীও করেছি। কিন্তু তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। সুত্র সিলেটভিউ