সিলেট জেলা আ’লীগের বর্ধিত সভায় একি বললেন পংকি খাঁন!

Uncategorized
শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিবেদক: সিলেট জেলা পরিষদ হল মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগের প্রথম বর্ধিত সভা চলছে। ঘড়ির কাটা তখন ৩টা ৩০ মিনিট। হল রুমে পিনপতন নিরবতা, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রফিক আহমদ বক্তব্য রাখছেন। ডায়াসের দিকে এগিয়ে গেলেন বর্ধিত সভার সঞ্চালক নাসির উদ্দিন খান। ঘোষণা করলেন এখন বক্তব্য রাখবেন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমদ। তিনি মাইকে বক্তব্য শুরু করে বলিষ্ট কন্ঠে বললেন, ২০১৫ সালের ৮ জুন বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন হয়েছে। কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। আপত্তির কারনে দীর্ঘ দিন কমিটি অনুমোদন হয়নি। ২০১৮সালের ১৩ জানুয়ারী কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়। মেয়াদ উর্ত্তীণ ওয়ার্ড, ইউনিয়ন কমিটি রয়েছে। উপজেলায় শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ ও মহিলা লীগের কমিটি রয়েছে। ছাত্রলীগের বিরোধ সবাই জানেন। দীর্ঘ দিন থেকে যুবলীগের আহবায়ক কমিটি।  তাই আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে জেলা আওয়ামীলগের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

তারপর মাইকে পংকি খানের নাম ঘোষণা করা হয়। পংকি খান মাইকের সামনে যেতেই বিদ্যুৎ চলে যায়, তিন মিনিট মাইক ছাড়াই বক্তব্য দেন। পরমূহুর্তে বিদ্যুৎ চলে আসায় মাইকের সাউন্ড শোনা গেল। পংকি খান বললেন, এক সময় বঙ্গবন্ধু বিশ্বনাথে আসায় তাকে দেখে (বঙ্গবন্ধুকে) অনেক আওয়ামীলীগ বেড়ে যায়। তিনি মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক! এক সময় অনেক লোক নিয়ে তিনি বিপদগামী হয়ে পড়েন !। এখন আওয়ামীলীগকে শক্তিশালী করতে অনেক পরিশ্রম করছেন। পংকি খান আরও বললেন, আমার শরীর ভাল নয়, এ মাসের শেষ দিকে লন্ডন চলে যাব। আমার বাইপাস অপারেশন হতে পারে। আর ফিরে নাও আসতে পারি। আগামী আওয়ামীলীগের সম্মেলনে আমি থাকবো না! আওয়ামীলীগে এসে কারও মনে কোন দুঃখ বা আঘাত দিয়ে থাকলে, আমাকে ক্ষমা করে দিবেন বলে বক্তব্য শেষ করেন।

তার বক্তব্যের পর অনেকেই কানাঘুষা করতে থাকেন। অনেকেই মন্তব্য করলেন বর্ধিত সভায় পংকি খান একি বক্তব্য দিলেন !


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *