সিলেটে রায়হান হত্যার প্রধান আসামি আকবর অবশেষে গ্রেফতার

Uncategorized
শেয়ার করুন

স্টাপ রিপোর্টার : সিলেট নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ‘নির্যাতনে’ রায়হান আহমদ খুনের ঘটনায় প্রধান আাসামি আকবর হোসেন ভূইয়াকে অবশেষে পুলিশের সহায়তায় আটক করা হয়েছে।
রায়হানের মৃত্যুর একমাসের মাথায় সোমবার (৯নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) আব্দুল করিম।।
আকবর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছেন বলে এরআগে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেলেও এএসপি আব্দুল করিম জানিয়েছেন, ভারতে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরীর কাষ্টঘর থেকে ধরে এনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ অমানবিক নির্যাতন করে হত্যা করেন। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
এদিকে, সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে মহানগর পুলিশের তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর বর্তমানে পলাতক ছিলেন। তাকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
তখন গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, ঘটনার দুইদিন পরই আকবর সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতের মেঘালয়ে পালিয়ে যান।
এদিকে গত ১৩ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়। এ ঘটনায় পিবিআই চারজনকে করেছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুন উর রশিদকে দুই দফায় ৮দিন ও সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আশেক এলাহীকে ৫ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। তবে তারা কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হননি। এছাড়া রায়হানের বিরুদ্ধে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী সাইদুর শেখ নামের এক ব্যক্তিকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করা হয়।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *