ষ্টাফ রিপোটার: সিলেটে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেখা দিয়েছে। চতুর দিকে পানিতে থৈথৈ। সিলেট ও সুনাম গন্জের ৮০ভাগ বাড়ী ঘর পানিতে ডুবে গেছে। প্রতি ঘন্টা পানি বন্দী মানুষের আহাজারী বাড়ছে। বিদ্যুৎ না থাকায় সংকট আরও বেড়ে গেছে। হাত ধোয়া,খাওয়া দাওয়া গোসল বন্ধ।সিলেট শহরের বন্দর বাজার এলাকার কিছু অংশ ছাড়া পুরো শহর পানিতে সয়লাব। ইতি পূর্বে অনেক বড় বন্যা হলেও সিলেট শহর ডুবে যায়নি। শহরের ছোট বড় ছড়া খাল নালা দখল এবং ঠিকাদারের পছন্দ মত ড্রেইন নির্মাণ করায় শহরে এবার বন্যার মূল কারন।
গ্রামের রাস্তা ঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্টান,হাঁস-মোরগ পাখি গরুর ফার্ম ডুবে যাওয়ায় গরীব খামারীরা বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। মোবাইলে প্রতিটি এলাকা থেকে লাইভ করে দেখানো হচ্ছে।
ভারত থেকে আসা উজানের পানি এবং গত দুই সপ্তাহের অবিরাম বৃষ্টির কারনে নদীর উপচে পানি প্রবেশ করে বাসা বাড়ী সব তলিয়ে যায়।সিলেটের সব নদীর তলদেশ ভরাট,নদীর তীর সংরক্ষন না থাকায় এবং অপরিকল্পিতভাবে ব্রীজ কালভাট নির্মাণ করে পানি প্রবাহে বাধার সৃষ্টি করায় এ ভয়াবহ অকাল বন্যা দেখা দপয়।
বিশ্বনাথ উপজেলার লামাকাজি,খাজান্সি ইউনিয়ন সুরমা নদীর পাশে থাকায় এ নদীর পানিতে প্রতিটি বাড়ীঘর ডুবে গেছে। মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্টান,সকল কাচা পাকা সড়ক পানির নীচে। সকল বীজতলা,তরীতরকারী ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। শত শত পরিবারে গত তিন দিন ধরে কারো চুলায় আগুন ধরাতে পারেননি। তীব্র জ্বালানী ও গোখাদ্য সংকট। বাসিয়া খাজান্সি নদী খনন করেও কোন লাভ হয়নি। নদীতে পাবি ঢুকা মাত্রই তীর উপচে পানি ঢুকে যায়।
গোয়াইনঘাট,কানাইঘাট,জৈন্তাপুর, কোম্পানি গন্জ,জকিগন্জ,দক্ষিন সুরমা,সিলেট সদর,বিয়ানীবাজার,সুনামগন্জ সদর,বিশ্বম্বরপুর জামালগঞ্জ দোয়ারাবাজার,তাহিরপুর,ছাতক সহ ভাটি এলাকার লাখ লাখ মানুষ গত এক সপ্তাহ ধরে পানির সাথে লড়াই করে বেচেঁ আছেন।