নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিদ্যুতের ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের যন্ত্রনা ও ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের কারনে গ্রাহকদের মধ্যে হতাশা ক্ষোভ ও চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভূয়া বিদ্যুতের বিল নিয়ে মহান জাতীয় সংসদে অনক হৈ চৈ ও হয়েছে। প্রতিদিন দেশের কোন না কোন না কোন অঞ্চলে বিদ্যুতের আজগুবি বিলের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এমন একটি ঘটনার তথ্য বিশ্বনাথের ডাক ২৪কমের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সিলেট শহরের ভার্থখলা এলাকার মাহবুব কমপ্লেক্সে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোড (পিডিবির) দেয়া এপ্রিল মাসের বিলের চেয়ে মে মাসে কয়েকগুণ বেশি ভুতুড়ে বিল প্রদান করেছে। এই বিল্ডিংয়ের ৬১টি মিটারে এপ্রিল মাসে বিল দেয়া হয়েছিল ৪৩হাজার ২২৩টাকা। মে মাসে একই মিটারে বিল দেয়া হয়েছে ১লাখ ২৮হাজার ২২৩টাকা। মিটার গুলোর রিডিং সঠিক থাকলেও অতিরিক্ত বিল ধরা হয়েছে ৮৪হাজার ৭৭৬টাকা। এই কমপ্লেক্সে কলেজ, ইউনিভারসিটিসহ সরকারি কর্মকর্র্তারা বাসা বাড়া দিয়ে থাকেন। এমন বিস্ময়কর অতিরিক্তি ভুয়া বিলের কারনে তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এখানে মিটার নম্বর ও মে এপ্রিল মাসের বিল যথাক্রমে দেখানো হলো। ২১৫৩৪নং মিটারে এপ্রিলে বিল ছিল ২হাজার ৮৭৮টাকা, মে মাসে ৭হাজার ৫৮৬টাকা, ২৪৭২৮৬নং মিটারে এপ্রিলে ২৩০৫-মে ৮২৯২টাকা, ১৪৯৪৫২নং মিটারে এপিলে ৪৪৪৪-, মে ১৫৬২৬টাকা, ২১৮২৫৪নং মিটারে এপ্রিলে ৬২৯-মে ১৮১৯টাকা, ২১৮২৪৯নং মিটারে এপ্রিলে ৩৩৬-মে ৬৯৮টাকা, ২১৮২৫৫নং মিটারে এপ্রিলে ১৭০০টাকা-মে ২৯২৮টাকা, ২১৮২৫০নং মিটারে এপ্রিলে ১১৮১-মে মাসে ৪৪৪৮টাকা, ২১৮২৫১নং মিটারে এপ্রিলে ৮৩৪-মে ২৫৬৬টাকা, ২১৮২৫৬নং মিটারে এপ্রিলে ৬০০-মে ২০১৭টাকা, ১৬৮৫১৯নং মিটারে এপিলে ২৪৯-মে ৪৪৭টাকা, ১৯৯৯৮০নং মিটারে এপ্রিলে ৭৭৪-মে ১৭১৫টাকা, ১৯৮৫০৩নং মিটারে এপ্রিলে ৩৪১, মে-১০৬১টাকা, ১৬৮৫১২নং মিটারে এপ্রিলে ২৭৩-মে ৫০৮টাকা, ২১৫৩৪২নং মিটারে ৬৩৭-মে ১৮২৬টাকা, ২১৫৩৪৪নং মিটারে এপ্রিলে ৭৩৬-মে ১৮২৬টাকা, ২১৫৩৬০নং মিটারে এপ্রিলে ৯১৩-মে ৩২৯১টাকা, ২১৫৩৫৮নং মিটারে এপ্রিলে ৭০৬-মে ২৩৪৭টাকা, ২১৫৩৫০নং মিটারে এপ্রিলে ৭৮৯-মে ২৫২৪টাকা, ১৯৯৯৭৩নং মিটারে এপ্রিলে ৪৫৮-মে ১৫১৫টাকা, ২১৮২৫৮নং মিটারে এপ্রিলে ৮৩৪-মে ২৩৮০টাকা, ২১৮২৪৫নং মিটারে এপ্রিলে ৫৯৯-মে ১৩৮৬টাকা, ২১৮২৫৭নং মিটারে এপ্রিলে ৩১৭-মে ৩২৭টাকা, ২১৮২৪৪নং মিটারে এপ্রিল ৬৯৭-মে ১৫১৬টাকা, ১৩৫০৭৭নং মিটারে এপ্রিলে ৬৬৯-মে ৫৭৬টাকা, ১৩৫০৬০নং মিটারে এপ্রিলে ২২৫-মে ৬৫৯টাকা, ১৩৫০৫৮নং মিটারে এপ্রিলে ১০৯৮, মে ৪৩০১টাকা, ১৩৫০৭০নং মিটারে এপ্রিলে ৫৫৪-মে ১৬০২টাকা, ১৩৫০৭১নং মিটারে এপ্রিলে ৭৯৬-মে ২০৫০টাকা, ১৩৫০৬৪নং মিটারে এপ্রিলে ৪৫৩-মে ১৩৪৮টাকা, ১৩৫০৫৪নং মিটারে এপ্রিলে ৬১৪-মে ১৬৫৯টাকা, ১৩৫০৬২নং মিটারে এপ্রিলে ১৩২-মে ২৪৮২টাকা, ১৩৫০৫৬নং মিটারে এপ্রিলে ৭০৬-মে ২০১০টাকা, ১৩৫০৭৩নং মিটারে এপ্রিলে ৪৪৬-মে ১৮৭৪টাকা, ২২৩২০৯নং মিটারে এপ্রিলে ৬৫৯-মে ১৪৯২টাকা, ২১৮৩০৬নং মিটারে এপ্রিলে ৪২৪-মে ১৪৯২টাকা, ২২৩২১৮নং মিটারে এপ্রিলে ৫১৩-মে ১২৮০টাকা, ২২৩২০১নং মিটারে এপ্রিলে ৬৪৫-মে ২৬৬০টাকা, ২২৩২১৯নং মিটারে এপ্রিলে ৬৯৭-মে ১৮৯০টাকা, ২১৮৩১১নং মিটারে এপ্রিলে ৫৪১-মে ১৫৭৯টাকা, ২১৫৪৬০নং মিটারে এপ্রিলে ৪৯৭ মে ১৫৯৬টাকা, ২১৮৩১৮নং মিটারে এপ্রিলে ৭৭৪-মে ৭৩৫টাকা, ২২৩১১৮নং মিটারে এপ্রিলে ৬০০-মে ১৫০৮টাকা, ১৩৯৭১৫নং মিটারে এপ্রিলে ৬৯২-মে ৬৯১টাকা, ১৩৯৭০১নং মিটারে এপ্রিলে ৫৮৬-মে ২১৩৩টাকা, ১৪৯৪৫৫নং মিটারে এপ্রিলে ৯৭১-মে ২৫২২টাকা, ১৩৯৭১৮নং মিটারে এপ্রিলে ২৭৩-মে ৪৪৭টাকা, ১৩৯৭০৯নং মিটারে এপ্রিলে ৪৫৯-মে ১২৮৮টাকা, ১৩৯৭০৮নং মিটারে এপ্রিলে ৬০১-মে ১৬১৫টাকা, ১৩৯৭১২নং মিটারে এপ্রিলে ৪৪১-মে ১০০৯টাকা, ১৩৯৭১১নং মিটারে এপ্রিলে ৬০৮-মে ১৮৭৭টাকা, ১৪৯৪৫৪নং মিটারে এপ্রিলে ১০৫৪-মে ২৯০১টাকা, ১৩৯৭১৬নং মিটারে এপ্রিলে ৩১২-মে ১৩৭২টাকা, ১৩৮৯৭১৩নং মিটারে এপ্রিলে ৩৩১-মে ৮৮টাকা, ১৩৯৭২০নং মিটারে এপ্রিলে ৫২৫-মে ১৫১৯টাকা, ১৩৯৭০৭নং মিটারে এপ্রিলে ৪০৯-মে ১২৫৮টাকা, ১৪৯৭১৪নং মিটারে এপ্রিলে ৫৭০-মে ১৮১৪টাকা, ১৩৯৭১৯নং মিটারে এপ্রিলে ৩৮৬-মে ১৪৮৮টাকা, ১৩৯৭১০নং মিটারে এপ্রিলে ৪৯১-মে ১৭১০টাকা, ১৪৯৪৫১নং মিটারে এপ্রিলে ৪০৩-মে ১১৭৫টাকা, ১৩৯৭১৭নং মিটারে এপ্রিলে ২৬৮-মে ৯৮৭টাকা।
এ বিল্ডিংএ বসবাসকারি সিনিয়র সাংবাদিক ও কলামিষ্ট এএইচএম ফিরোজ আলী বলেন, হঠাৎ এমন বিদ্যুৎ বিল পেয়ে এ কমপ্লেক্সে বসবাসকারি সকলেই হতভাগ হয়ে পড়েছেন। তারা এমন কাল্পনিক বিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মালিক পক্ষকে জানিয়েছেন। বিল্ডিংয়ের ম্যানেজার জানান, পিডিবির স্থানীয় কার্যালয়ে আপত্তি দাখিল করা হয়েছে।
পিডিবির ভার্থখলা এলাকার দায়িত্বে থাকা আনোয়ার হোসেনের সাথে টেলিফোনে কথা হলে এ প্রতিবেদককে জানান, রিডিংয়ের বেশি বিল আসলে অবশ্যই বিল সংশোধন করে দেয়া হবে। ভুতুড়ে বিল দেয়ার কথা নয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, মাহবুব কমপ্লেক্স থেকে অতিরিক্ত বিলের ব্যাপারে কোন আপত্তি এসেছে কি’না আমার জানা নেই।