ডাক ডেক্স : সিলেটের গোলাপগঞ্জে চোরাইকৃত গরু বিক্রি করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাসহ চোর চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের ঘোষগাঁও মাদ্রাসার সামন থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত তেরা মিয়ার পুত্র আব্দুল কাদির (৩৫), বাঘা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঘা গ্রামের ইউসুফ আলীর পুত্র মনোয়ার হোসেন (৪২) ও একই ইউনিয়নের বাঘা রোস্তমপুর গ্রামের মৃত মোবারক আলীর পুত্র মুন্না আহমদ (৩০)।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে মুন্না আহমদ গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই পার্থ সারথি দাস বাদী হয়ে একটি মামলা (মামলা নং–৮/১৯০, তারিখ–১০–০৮–২০২৩) দায়ের করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে যে একটি চোর চক্র পিকআপ যোগে একটি চোরাইকৃত গরু বিক্রির উদ্দেশ্যে ঘোষগাঁও গ্রামে নিয়ে আসছে। তাৎক্ষণিক গোলাপগঞ্জ মডেল থানার এসআই পার্থ সারথি দাসের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ঘোষগাঁও গ্রামের অভিযান চালায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যাওয়ার পথে ঘোষগাঁও মাদ্রাসার সামন থেকে চোর চক্রের সদস্য আব্দুল কাদির, মনোয়ার হোসেন ও মুন্না আহমদকে একটি লাল রংয়ের গরুসহ আটক করা হয়। আসামিদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে গরুটি শাহপরান (রহ.) থানা এলাকা থেকে চুরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে তারা নিয়ে যাচ্ছিলো। এসময় বহনকাজে ব্যবহৃত একটি পিকআপও জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানতে পারে, তারা উপজেলা বিভিন্ন গ্রাম থেকে গরু চুরি করে সিলেটের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করে আসছিল।
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. রফিকুল ইসলাম ।
চুরি করা গরু বিক্রির সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মুন্না আহমদ গ্রেপ্তারের বিষয়ে জানতে চাইলে গোলাপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি তাজুল ইসলাম জানান, বিষয়টি শুনে আমরা সিলেট জেলা ছাত্রলীগকে অবগত করেছি। তারা বিষয়টি দেখে যে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলবেন আমরা যে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।