বিবিসি বাংলা :: বাংলাদেশে তাবলীগের সাদপন্থী বলে পরিচিত মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্দালভীর অনুসারীদের নিষিদ্ধের দাবি তুলেছেন মাওলানা জুবায়ের আহমেদের অনুসারীরা।
মঙ্গলবার কাকরাইল মসজিদ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ দাবি উপস্থাপন করেন মুফতি কেফায়েত উল্লাহ আজহারী।
বাংলাদেশে তাবলীগ জামাতের দু’টি অংশ ‘জুবায়ের’ ও ‘সাদ’পন্থীদের মধ্যে গত কয়েক বছর ধরে দ্বন্দ্ব চলছে, যা এর আগে কয়েক দফা সংঘর্ষে গড়িয়েছে।
সর্বশেষ ১৭ই ডিসেম্বর টঙ্গীর তুরাগ তীরে অবস্থিত বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের প্রায় অর্ধশত অনুসারী আহত হয়েছেন।
সেসময় সংঘর্ষের একপর্যায়ে জুবায়েরপন্থীদের ধাওয়া দিয়ে ইজতেমা ময়দানের নিয়ন্ত্রণ নেন সাদপন্থীরা।
পরে জুবায়েরপন্থীরা পুনরায় সংগঠিত হয়ে বিক্ষোভ-সমাবেশ শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।
সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় উভয় পক্ষ পরস্পরের ওপর দায় চাপিয়েছেন।
সেসময় সাদপন্থীদের ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধের দাবি জানান জুবায়েরপন্থীদের অন্যতম নেতা মামুনুল হক।
আজও সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি জানিয়েছেন জুবায়েরপন্থীরা।
“সাদপন্থীরা চরমপন্থী বাহিনী” উল্লেখ করে কেফায়েত উল্লাহ আজহারী বলেন, “আওয়ামীলীগ ও তার দোসররা যোগসাজস করে সাদপন্থীদের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার নীলনকশা করেছিলো। এই নীলনকশা বাস্তবায়নে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ ও ইসরায়েলের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে বলে কিছু জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।”
“সাদপন্থীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে,” জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “১৭ তারিখের হামলা ও ২০১৮ সালের পহেলা ডিসেম্বরে হামলার সাথে জড়িত আসামিদের গ্রেফতার ও বিচার করতে হবে।”