নিজস্ব প্রতিবেদক: বিশ্বনাথের ডাবল মার্ডারের আসামী সাইফুলের রিমান্ডের ৩য় দিন আজ। গত ১৪ নভেম্বর বিশ্বনাথ থানা পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে থানায় নিয়ে আসে। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সাইফুল নিজে তার লাইসেন্সকৃত বন্দুকটি এসএমপির শাহপরাণ থানায় জমা দিয়েছে বলে জানায়। কিন্তু এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, সাইফুল সুমেল হত্যা মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের সময় নিয়ে এসে ২৯ সেপ্টেম্বর শাহপরাণ থানায় বন্দুক দেয়। কিন্তু এসময় সাইফুল কৃষক দয়াল হত্যা ও চাউলধনী হাওরের জালিয়াতি মামলার পলাতক আসামী ছিল। তাকে থানায় পেয়েও রহস্যজনক ভাবে গ্রেফতার করা হয়নি। সেদিন বিশ্বনাথের কয়েকজন সাংবাদিক বন্দুক জমার বিষয়টি জানার জন্য শাহপরাণ থানার ওসিকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি সঠিক কোন তথ্য দেন নি।
এখন সাইফুলের বক্তব্য মতে, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি নিয়ে আজ (১৬ নভেম্বর) মঙ্গলবার সন্ধা ৭টায় শাহপরাণ থানা থেকে বন্দুকটি জব্দ করে বিশ্বনাথ থানায় নিয়ে আসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রমা প্রসাদ চক্রবর্তী।
অবৈধ অস্ত্রের বিষয়ে কোন তথ্য দিয়েছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে বিশ্বনাথ থানার ওসি গাজী আতাউর রহমান বলেন, আসামীর এখনও রিমান্ড শেষ হয়নি। তদন্তের স্বার্থে অনেক কিছু বলা যাবে না।
একটি সূত্র মতে, একটি প্রভাবশালী মহল সাইফুলকে সহায়তায় নানামূখী চেষ্টা তদবির চালিয়ে যাচ্ছে। বাদী পক্ষ সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য দাবী জানিয়ে আসছে।
চলতি বছর ২৮ জানুয়ারী চৈতননগর গ্রামের ছরকুম আলী দয়াল নিজ ভূমিতে কাজ করার সময় সাইফুল ও তার বাহিনী দয়ালকে হত্যা করে। এ ঘটনার পর এলাকাবাসী সাইফুল বাহিনীর নিকট থেকে অস্ত্র উদ্ধারের আবেদন, নিবেদন করলেও কোন কাজে আসেনি। অবশেষে গত ১লা মে স্কুলছাত্র সুমেলের বাবা-চাচার বাড়ীর জমিতে ভেকু মেশিন দিয়ে সাইফুল ও তার বাহিনীর ৩০/৩৫জন লোক জোরপূর্বক মাটি কাটা শুরু করলে জমির মালিকরা এতে বাধা দেন। এতে পরিকল্পিতভাবে জমির মালিকদের উপর সাইফুল ও তার বাহিনী মুহমুহ গুলিবর্ষণ করে। এ সময় সুমেল সহ ৫জন গুলিবিদ্ধ হয়। আহতদের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সুমেলের মৃত্যু হয় এবং তার বাবা-চাচাসহ ৪জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। গত ২১ অক্টোবর বাদী পক্ষ ঢাকার সেগুনবাগিছার একটি ১১তলা ভবন থেকে হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী খুনি সাইফুলকে আটক করে রমনা থানায় হস্তান্তর করেছিলেন।