ডাক ডেস্ক : সিলেটের বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়রাম্যান আতিকুর রহমান লিটনের বিরুদ্ধে এলজিইডি’র সড়কের সরকারি ২১টিরও বেশি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনা তদন্তে গেলে দিলোয়ার হোসেন নামের রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের এক তহসিলদারকে লাঞ্চিত করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই চেয়ার্যমানের বিরুদ্ধে।
১২দিনে পৌরসভার অংশের ১৯টি এবং শিমুলতলা-টুকেরকান্দি সড়ক সড়কের আরও বড় ২টিসহ চোটবড় ২১টিরও বেশি সরকারি গাছ কাটার অভিযোগ ওঠেছে তার বিরুদ্ধে। সরকারি এ সকল গাছ কাটার ঘটনায় চেয়ারম্যানকে অভিযুক্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে পৃথক অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি ২০২৩ সালের ১৭ জুলাই বিশ্বনাথের অলংকারী ইউনিয়নে চেয়রাম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন আতিকুর রহমান লিটন। ২০ আগষ্ট সিলেটে শপথ নেন এবং ৭ সেপ্টেম্বর তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এরপর প্রথম কাজ হিসেবেই তিনি এলজিইডি সড়কের পাশে ঝুপঝাড় পরিস্কার করা শুরু করেন।
৪ অক্টোবর দুপুরে পৌরসভার অংশে অলংকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টেংরা লালাবাজার সড়কের পাশের ঝুপঝাড় পরিস্কারের নামে রেইনট্রিসহ বিভিন্ন জাতের বনজ ও ঔষধি জাতের ১৯টি গাছ কেটে ফেলে যান। খবর পেয়ে ওইদিন বিকেলে রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার দিলোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে তাকে লাঞ্চিত করেন চেয়ারম্যান। এঘটনায় এলাকাবাসী এসিল্যান্ড বরাবরে ওইদিনই লিখিত অভিযোগ দেন।
এরই প্রেক্ষিতে পরদিন বৃহস্পতিবার থানা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা জাহান সরকার।
এর আগে গত ২৩ সেপ্টেম্বর ইউনিয়নের শিমুলতলা থেকে টুকেরকান্দি গ্রামের সড়কের পাশে থাকা প্রায় ৩০ বছরের পুরনো প্রায় ২৫হাজার টাকা মূল্যের ২টি রেইন্ট্রিগাছ কেটে ফেলেন চেয়ারম্যান ও তার লোকজন। এঘটনায় ওইদিন টুকেরকান্দি গ্রামের বাসিন্দারা ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী অলংকারী গ্রামের আনছার আলী (৪৩) ও সাহেদ আহমদ (৩২) বলেন, অলংকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন ঝুপঝাড় পরিস্কারের নামে অলংকারী ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে টেংরা লালাবাজার সড়কের পাশের ১৯টি সরকারি গাছ কেটে ফেলে দিয়েছেন। আর টুকেরকান্দির আমির আলী বলেন, তাদের এলাকার ৩০বছরের পুরনো বড় দু’টি গাছ কেটে ফেলে দিয়েছেন চেয়ারম্যান।
তবে চেয়রাম্যান আতিকুর রহমান লিটন এই অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, সড়কের ঝুপঝাড় পরিস্কার করাচ্ছেন। তার উপর আনা গাছ কাটা ও লাঞ্চিতের অভিযোগটি সত্য নয়।
রামপাশা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার দিলোয়ার হোসেন ফোন কল রিসিভ না করায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এপ্রসঙ্গে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা আসমা জাহান সরকার স্থানীয়দের দেওয়া অভিযোগ ও তহসিলদার লাঞ্চিতের বিষয়ে সত্যতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, চেয়ারম্যান গাছ কাটার পর তিনি এলাকা পরিদর্শন করেছেন। গাছগুলো এখনও যথাস্থানে রয়েছে এবং শিঘ্রই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যস্থা নিতে ইউএনও বরাবরে তিনি প্রতিবেদন দাখিল করবেন।