নিজস্ব প্রতিবেদক: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মীরগাঁও গ্রামের বিদ্যুৎতাড়িত হয়ে গুরুত্বর জখমী একলাছুর রহমান ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে এখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার শরীরের ৮০ভাগ পুড়ে গেলেও চিকিৎসকদের বিরামহীন চিকিৎসার কারনে বিস্মিতভাবে এখন তিনি সুস্থের পথে। একলাছুর রহমানের শারীরিক সুস্থতার অগ্রগতি দেখে চিকিৎসকরাও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, এ ধরনের পোড়া বা বিদ্যুতে আঘাতপ্রাপ্ত রোগীর সুস্থ বা জীবন ফিরে পাওয়া খুবই কঠিন। একলাছুর রহমান জানান, মহান আল্লাহ, মা-বাবা ও এলাকাবাসীর দোয়ায় আমি অল্প সময়ে সুস্থ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। তিনি বলেন, এলাকার মানুষের আর্থিক সহায়তা ও দোয়ায় আমি অদম এখনও বেঁেচ আছি। আমি সকলের প্রতি চির কৃতজ্ঞ। সিলেটের কৃতিসন্তান বার্ন ইউনিটের প্রধান মানবিক চিকিৎসক ডাঃ সামান্তরাল সেনসহ সকল চিকিৎসকগণ আমাকে বাঁচানোর জন্য যে প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন আজীবন তাদের কাছে আমি ঋণী।
গত রবিবার (২২ আগষ্ট) রাতে বিশিষ্ট লেখক ও সিনিয়র সাংবাদিক এএইচএম ফিরোজ আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম ও সমাজসেবী ইব্রাহিম আলী সিজিল তাকে ঢাকার বার্ন ইউনিট হাসপাতালে দেখতে যান। তারা একলাছুর রহমানের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন । এসময় একলাছুর রহমান তাকে চিকিৎসাকারী ডাক্তারদের অকান্ত পরিশ্রমের কথা বর্ণনা করেন। একলাছুর রহমানের বিশ্বাস কিছুদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে তিনি বাড়ী ফিরতে পারবেন বলে ডাঃ সামান্তরাল সেন আশ্বস্থ করেছেন।
গত ১৭ জুলাই একলাছুর রহমান নিজগ্রামে একটি দালান ঘরের দু’তলায় কাজ করতে গিয়ে ….কেবি বিদ্যুৎ লাইনে জড়িয়ে পড়ে গুরুত্ব জখম হন। তাকে সাথে সাথে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে গত ২৭ জুলাই উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে নিয়ে যাওয়া হয়। একলাছুর রহমান তাকে সহায়তাকারী দেশ-বিদেশের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দোয়া চেয়েছেন।