অনলাইন ডেস্ক :: ভারতে আশ্রয় নেওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে কি না, আবারও এমন প্রশ্ন উঠেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রণধীর জসওয়াল।
ওই ব্রিফিংয়ে একজন সাংবাদিক ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের কাছে প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশ দাবি করছে দেশটি শেখ হাসিনাকে ফেরত চায়। এ জন্য বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের কাছে পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে বাংলাদেশকে কোনো উত্তর দিচ্ছে না।
এর জবাবে রণধীর জসওয়াল ‘শেখ হাসিনা’ প্রসঙ্গে কোনো কথা না বলে জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক ভালো। আমি আমার জায়গা থেকে বহুবার তা উল্লেখ করেছি। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চাই, যা দুই দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত।
সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্রনাথের কাচারিবাড়িতে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ৮ জুন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৈতৃক বাড়ি, যা বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলায় অবস্থিত এবং ঐতিহাসিকভাবে ‘রবীন্দ্র কাচারিবাড়ি’ নামে পরিচিত, সেখানে একদল উগ্র জনতার নৃশংস হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাকে দৃঢ়ভাবে নিন্দা জানাই। এই বর্বর হামলা বাংলাদেশে নোবেলজয়ী কবির স্মৃতি, তাঁর উদারবাদী দর্শন ও শিক্ষার প্রতি একটি লজ্জাজনক আঘাত।
ব্রিফিংয়ে আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনাকে ‘অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করে জসওয়াল বলেন, ‘এতে অনেক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকও রয়েছেন।’
তিনি বলেন, এই হামলা একটি বৃহত্তর প্যাটার্নের অংশ, যেখানে চরমপন্থীরা পরিকল্পিতভাবে সহনশীলতার প্রতীক ও বাংলাদেশের মিশ্র সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে আহ্বান জানাই যেন তারা এই উগ্রপন্থীদের নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে, যাতে ভবিষ্যতে এমন দুঃখজনক ঘটনা পুনরায় না ঘটে।
