নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলায় ২০২২সালের বন্যায় তলিয়ে যাওয়া পাকা রাস্তাগুলো এখনও সংস্কার করা হয়নি। ফলে এলাকার জনসাধারণকে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতি জনগুরুত্বপূর্ণ রশিরপুর-বিশ্বনাথ-রামপাশা-লামাকাজি সড়কটি চলতি বছর জানুয়ারি মাসে মেরামত করা হলেও পাকা রাস্তায় কয়েকটি ট্রাক গর্তে ঢুকে যায়। গত শুত্রবার রামপাশা সড়কের কাদিপুর ইটভাটার পাশে ব্রিজের উত্তরে একটি ভারি ট্রাক পাকা রাস্তা নিচ দিকে ধসে গিয়ে ট্রাকটি আটকে যায়। পরে অন্য গাড়িতে মালামাল আনলোড করে গাড়িটি সরানো হয়। একই স্থানে একসাথে আরো দুটি ট্রাক গর্তে আটকে যায়। এ সড়কে ঘন ঘন মেরামত করা হলেও সড়কটিকে টিকিয়ে রাখা যাচ্ছেনা। প্রতিবার একই স্থনে গর্তের সৃষ্টি হয় এবং মাটির নীচ থেকে গর্তগুলো ভরাট না করায় কিছুদিন পর আবার গর্তের সৃষ্টি হয়। এই রাস্তা ভাংগার মুল কারন হচ্ছে, শিল্প নগরি ছাতকের দুই তিনটি কোম্পানীর ভারি ট্রাক রাতের আধারে সিলেটের দিকে না গিয়ে লামাকাজি হয়ে রশিদপুরে চলে যায়।
এ সড়কটি ভারি ট্রাকের ওজন সইতে না পারায় বার বার গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। ট্রাকের মালিকপক্ষ লামাকাজি পয়েন্টে টোল ফাঁকি দিতে গিয়ে এ রাস্তাটি ব্যবহার করে সর্বনাশ ডেকে এনেছে। বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা ও লামাকাজি বাজার ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি ডা. শাহনুর হোসাইন জানান, গভির রাত হলে লামাকাজি রশিদপুর সড়কে ভারি ট্রাক চলাচলের বহর দেখা যায়। যে কারনে রাস্তাটি বার বার ভেঙ্গে গর্তের সৃষ্টি হয় বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
নকিখালি-দশপাইকা-উজাইজুরি সড়কটি এমন ভাবে পাকা উঠে গিয়ে হাতির দাতের মত বাঁকা হয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যান বাহন চলাচল তো দুরে থাক, স্কুলগামি শিক্ষার্থীরা পায়ে হেঁটে যেতেও অনিহা প্রকাশ করে। প্রতিদিন সড়কের গর্তে পড়ে সিএনপি, অটোরিকশা পড়ে গিয়ে মরাত্বক হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। বিশ্বনাথ থানা সদর থেকে রামধানা হয়ে খাজাঞ্চি রেল ষ্টেশন পর্যন্ত সড়কে যান বাহন আসা যাওয়া করতে পানেরা। গত তিন দিনের অবিরাম বৃষ্টি ও ঘুর্নিঝর রামেলের আঘাতে রাস্তার পাশে পড়ে যাওয়া গাছ ও পাকা রাস্তার গর্তে পানি থাকায় চাড়ির চাকার আঘাতে নতুন নতুন গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অবস্থায় চলতে থাকলে কিছুদিনের মধ্যে অনেক গুলো রাস্তা নষ্ট হয়ে যাবে। রামপাশা-রাজাগঞ্জ-খাজাঞ্চি সড়কটিতে বড় বড় গর্ত থাকায় ছোট-বড় যানবাহন চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।