রাত পোহালেই সারা দেশে হাম রোবেলা টিকাদান শুরু

Uncategorized
শেয়ার করুন

নিজস্ব প্রতিবেদক : সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে কাংখিত শিশুদের হাম-রুবেলা টিকাদান কর্মসূচী শুরু হচ্ছে। রাত পোহালেই (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত সারা দেশ ব্যাপী একসাথে এ কার্যক্রম শুরু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য ও পরিাবর পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনস্থ মাঠ কর্মচারিগন এ কর্মসুচী বাস্তবায়ন করবেন। স্বাস্থ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মচারি, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক এবং স্বাস্থ্য ও সহকারিগণ তাদের বিভিন্ন দাবি দাবা আদায়ে কর্মবিরতিতে থাকায় একাধিক বার তারিখ পরিবর্তন করতে হয়েছে। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসুচী বাস্তবায়ন করার কথা ছিল।

অবশেষে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মচারিরা তাদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করায় এই কর্মসুচী বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত করা হয়। শনিবার থেকে প্রত্যেক ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে মূল টিকাদান কেন্দ্র এবং আশ-পাশে আরো ২টি কেন্দ্রে কার্যক্রম শুরু হবে এবং লাগাতার ১ ওয়ার্ডের কাজ শেষে পরবর্তি ওয়ার্ডে পুণরায় শুরু হবে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের ২জন টিকাদান কর্মী, পরিবার কল্যাণ সহকারি ও স্বাস্থ্য সহকারি এবং ৩জন সেচ্ছাসেবিসহ মোট ৫জন কেন্দ্রটি পরিচালনা করবেন।

বিশ্বনাথ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৭২টি ওয়ার্ডের মাধ্যমে ৯মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা প্রদান করা হবে। ইতিমধ্যে সারা দেশের ন্যায় বিশ্বনাথ উপজেলায়ও টিকাদান কর্মসুচীর সকল প্রস্তুতি সম্পর্ণ করা হয়েছে। গুরুত্বর অসুস্থ ও হাসপাতালে ভর্তি এবং কোন অভিভাবকের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শিশুদের টিকা দেয়া যাবেনা। তবে, ৯মাস থেকে ১০ বছরের কম বয়সী সকল শিশুদের এমআর টিকা অবশ্যই দিতে হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. আব্দুর রহমানকে বিশ্বনাথে ৮টি ইউনিয়নে কতজন শিশুকে টিকা দেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সংখ্যাটা আগামি কাল জানানো হবে। অপর এক প্রশ্নে জবাবে তিনে বলেন, টিকা কেন্দ্রে স্বাস্থ্য সহকারিদের স্বল্পতা থাকে, তবেই পরিবার কল্যাণ সহকারিদের টিকা দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাম রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইন সহায়িকায় এফডাব্লিউএ ও এইচএরা পিকাদান কর্মী হিসেবে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক ও পরিবার কল্যাণ সহকারি জানান, স্বাস্থ্য বিভাগের সব কাজেই সব সময় চলচাতুরির আশ্রয় নেয়া হয়। মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরিবার কল্যাণ সহকারিগণ টিকাদান কর্মী কিন্তু কেউ এর ব্যতিক্রম করতে চাইলে আমার মেনে নেবনা।

সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের একটি সুত্র জানায় সিলেট জেলায় সাড়ে ৮ লাখ শিশুদের এমআই টিকা দেয়া হবে।


শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *