অনলাইন ডেস্ক :: যুবদল কর্মী আসিফ শিকদারকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগে পাঁচ পুলিশ, তিন সেনা কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালতে এ মামলা করেন নিহতের মা স্বপ্না বেগম। এ সময় বাদির জবানবন্দি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন– রাজধানীর শাহআলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) মতিউর রহমান, ডিএমপির দারুসসালাম জোনের এসি এমদাদুল হক, এডিসি জাকারিয়া, ডিএমপির মিরপুর ডিভিশনের ডিসি মোহাম্মদ মাকসুদুর রহমান, সায়েন্সল্যাব সেনা ক্যাম্পের মেজর মুদাব্বির, ক্যাপ্টেন তাম্মাম ও সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সিরাজ, আবুল কালাম আজাদ লেলিন, ইনফরমার খলিল ও সিএনজি ফরিদ।
আসামিদের বিরুদ্ধে গত ২০ জুলাই মধ্যরাতে আসিফ শিকদারকে বাসা থেকে হাত-পা বেঁধে শাহআলী থানায় নিয়ে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা যায়, গত ২১ জুলাই ভোরে রাজধানীর মিরপুরে ৩০ রাউন্ড গুলিসহ আসিফ শিকদারসহ যুবদলের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করে যৌথ বাহিনী। আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেওয়ার পথে আসিফ শিকদারের মৃত্যু হয়। নিহতের পরিবারের দাবি অভিযানের সময় নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা হলেন আসিফ শিকদার, মো. শাকিল ও মো. সাইফুল। এর মধ্যে আসিফ শিকদার শাহআলী থানার ৯৩ নম্বর ওয়ার্ড (সাংগঠনিক ওয়ার্ড) ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে যৌথ বাহিনীর একটি টিম শাহআলী থানার মিরপুর ১ নম্বর নিউ সি ব্লক এলাকার ২২ নম্বর রোডের একটি বাড়ি এবং এ ব্লকের ৭ নম্বর রোডের আরেকটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে যুবদলের ৩ নেতাকর্মীকে আটক করে। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ৩০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সায়েন্সল্যাব এলাকার সেনা ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৩ আসামিকে শাহআলী থানায় হস্তান্তর করেন যৌথবাহিনীর সদস্যরা। এক পর্যায়ে দুপুর ১২টার দিকে গ্রেপ্তার আসামি আসিফ শিকদারসহ অন্য ২ আসামি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শাহআলী থানার উপপরিদর্শক মো. আল ইমরান চিকিৎসার জন্য পুলিশের গাড়িতে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক আসিফকে মৃত ঘোষণা করেন।
জানা গেছে, নিহত আসিফ শিকদারের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও শাহআলী থানা ঘেরাওয়ের মামলা ছিল। সম্প্রতি মিরপুর মডেল থানার একটি চাঁদাবাজি মামলায় তিনি জেল থেকে বের হয়েছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনিসহ ১৬ জনকে আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা হয়। আসিফ মামলার ৪ নম্বর আসামি ছিলেন।